গত এক বছরে লাগাতার ভরতুক♑ি কমতে থাকার ফলে প্রতিটি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা বেড়েছে এবং বর্তমানে ভরতুকি শূন্যে এসে ঠেকেছে।
দিল্লিতে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ১৪.২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ৬৩৭ টাকা, যা এই মূহূরﷺ্তে দাঁড়িয়েছে ৫৯৪ টাকায়। অর্থাৎ সেই সময় ভরতুকিপ্রাপ্ত সিলিন্ডারের দাম ছিল ৪৯৪.৩৫ যা এখন বেড়ে হয়েছে ৫৯৪ টাকা।
সরকার ক্রমাগত ভরতুকি ছাঁটার ফলে ভরতুকি পরিমাণ এবং ভরতুকিপ্রাপ্ত সিলিন✃্ডারের দাম চলতি বছরের মে মাস থেকে একই হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোদী সরকারের প্রথম দফা চালুকালীনই শোনা গিয়েছিল, এলপিজি সিলিন্ডারে ধীরে ধীরে ভরতুকি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। কিন্তু এই বিষয়ে ꩵজানতে চাইলে সব সময় এড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
লাগাতার ভরতুকি ছাঁটার জেরে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ভরতুকিপ্রাপ꧅্ত এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ৪৯৪.৩৫ টাকা এবং ๊ভরতুকি ছাড়া সিলিন্ডারের দাম ছিল ৬৩৭ টাকা। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ভরতুকিপ্রাপ্ত এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়ায় ৫১৭.৯৫ টাকা এবং ভরতুকি ছাড়া সিলিন্ডারের দাম হয় ৬০৫ টাকা।
গত জানুয়ারি মাসে🐬 ভরতুকিপ্রাপ্ত সিলিন্ডারের দাম পৌঁছয় ৫৩৫.১৪ টাকায় এবং ভরতুকিহীন সিলিন্ডারের দাম হয় ৭১৪ টাকা। এর পর এরপ্রিল মাসে ভরতুকিপ্রাপ্ত সিলিন্ডারের দাম হয় ৫৮১.৫৭ টাকা এবং ভরতুকিহীন সিলিন্ডার হয় ৭৪৪ টাকা।
গত এপ্রিল মাসে আন্তর্জাত🅷িক বাজারে এলপিজি-র দাম উল্লেখযোগ্য হারে পড়ে যাওয়ার পরে ভারতে ঘরোয়া এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৬২.৫০ টাকা কমে দাঁড়ায় ৫৮১.৫০ টাকায়। জুন ও জুলাই মাসে ভরতুকিপ্রাপ্ত এবং ভরতুকিহীন এলপিꦐজি সিলিন্ডারের দাম একই সঙ্গে বেড়েছে।
দেশꦛের বৃহত্তম জ্বালানি বিপণন সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন তার নিজস্꧑ব ওয়েবসাইটে ভরতুকিপ্রাপ্ত এলপিজি সিলিন্ডারের দাম জানানো বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ এক বছর আগেও ওয়েবসাইটে দাম সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করা হত। গত জানুয়ারি মাস থেকে ভরতুকিপ্রাপ্ত সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চেয়ে ৭ জুলাই সংস্থাকে ই মেল পাঠিয়েও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।