কোনও অস্ত্রোপচার ব্যর্থ হলে অথবা চিক𒈔িৎসা পরিষেবা থেকে আশানুরূপ ফল না পাওয়া গেলেই তার জন্য চিকিৎসকের উপর দায় চাপানো যাবে না। চিকিৎসককে দোষ𝕴ী সাব্যস্ত করতে হলে অবশ্যই যথাযথ প্রমাণ থাকতে হবে।
গত শুক্রবার একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। আদালতের বক্তব্য, চিকিৎসা হওয়ার পরও যদি কেউ সুস্থ না 𒉰হন, এমনকী যদি কোনও চরম অনভিপ্রেত ঘটনাও ঘটে, তার অর্থ এই নয় যে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি বা তিনি তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
বিচারপতি পি এস নরশিমা এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তলের বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে বলেছে, 'অস্ত্রোপচারের পর 🦂কোনও রোগী যদি আশানুরূপভাবে সুস্থ না হন, কিংবা তিনি যদি চিকিৎসায় সাড়া না দেন, তার মানেই এটা হয় না যে ওই চিকিৎসক বা তাঁর করা অস্ত্রোপচার ব্যর্থ হয়েছে।...'
আদালতের বক্তব্য হল, এমন কোনও ঘটন🤪া ঘটলেই সরাসরি চিকিৎসককে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া যেতে পারে না। একমাত্র যদি তথ্য প্র༒মাণের নিরিখে এটা প্রমাণিত হয় যে, ওই চিকিৎসক তাঁর কাজ, দায়িত্ব ও কর্তব্যে পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তবেই তাঁকে দোষী হিসাবে চিহ্নিত করা যায়।
সংশ্লিষ্ট মামলায় সুপ্র𒅌🦹িম কোর্ট 'ন্যাশনাল কনজিউমার ডিসপিউটস রিড্রেসাল কমিশন' (এনসিডিআরসি)-এর দেওয়া নির্দেশ বাতিল করে দিয়েছে। যে নির্দেশে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
ওই মাম🦩লায়༒ রোগীর অভিভাবকের বক্তব্য ছিল, তাঁদের নাবালক ছেলের বাঁ-চোখে জন্মগত একটি অসুখ ধরা পড়েছিল। যার জন্য একটি অস্ত্রোপচার করা হয়।
১৯৯৬ সালে চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (পিজিআইএমইআর)-এর ডা. নীরজ সুড সেই অস্তไ্রপোচার করেন।
কিন্তু, অভিযোগকারীর দাবি ছিল, কেবলমাত্র একটি ছোট অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেই তাঁর সন্তানকে সুস্থ করে তোলা যেত। কারণ ছেলেটির চোখে অন্য কဣোনও ত্রুটি ছিল না। সেক্ষেত্রে সেই সময় ওই নাবালকের বাঁ চোখের পাতা সামান্য তুলতে হত এবং তা ডান চোখের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করতে হত।
এদিকে, অস্ত্রোপচারের পর ছেলেটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় সংশ্লিুষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি ও ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়। একইসঙ⭕্গে, পিজিআইএমইআর-কেও কাঠগড়ায় তোলা হয়।
কিন্ওতু, 'স্𓆏টেট কনজিউমার ডিসপিউটস রিড্রেসাল কমিশন' ২০০৫ সালে সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয়। এরপর অভিযোগকারীরা এনসিডিআরসি-র দ্বারস্থ হয়।
এনসিডি🦄আরসি কর্তৃপক্ষ স্টেট কনজিউমার ডিসপিউটস রিড্রেসাল কমিশনের রায় খারিজ🙈 করে দেয় এবং ওই চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে দোষী সাব্যস্ত করে মোট ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
সেই রায় রায় চ্য়ালেঞ্জ করে শী🌌র্ষ আদালতে মামলা রুজু করেন ডা. সুড এবং পিজিআইএমইআর কর্তৃপক্ষ। তারই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট এনসিডিআরসি-র রায় বাতিল করে উপ🧸রোক্ত রায় ঘোষণা করে।