কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যোগ থাকলে বা সেই সংগঠনের সদস্য হলেই একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র আওতায় মামলা করা যাবে বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মার শাহ, বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং বিচারপতি সঞ্জয় করোলের ꦉডিভিশন বেঞ্চ ইউএপিএ সংক্রান্ত মামলায় রায়দান করে জানান, ইউএপিএ-র ১০(এ)(i) ধারা বহাল রাখা হচ্ছে। এর আগে ২০১১ সালে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ এই ধারাটিকে খারিಞজ করেছিল। প্রাসঙ্গিকভাবে, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ২০১১ সালের রায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের উদাহরণ টেনে এনেছিল।
আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনই 🦩‘কাঁটা’, সরকারি কর্মীদের অনড় অবস্থানে মাথায় হাত পড়বে তৃণমূলের?
আজ রায়দানের সময় আদালত পর্যবেক্ষণ করে, 'ইউএপিএ-এর লক্ষ্য হল কোনও বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা। বেআইনি সংগঠনের সদস্যকে শাস্তি দেওয়াই লক্ষ্য ইউএপিএ-র। এই আবহে ইউএপিএ-র ধারা ১০(এ)(i) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯(১)(এ) এবং ১৯(২)-এর সাথে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই আহবে ইউএপﷺিএ-এর উদ্দেশ্যগুলি সংবিধানের ১৯(১)(এ) এবং ১৯(২)-এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।' বার এবꦐং বেঞ্চের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এই 'ঐতিহাসিক রায়ে'র জন্য সুপ্রিম বেঞ্চকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বিচারপতি মার্কাণ্ডে কাটজু, বিচারপতি জ্ঞান সুধা মিশ্র একটি মামলায় অভিযুক্ত অরূপ ভুইঞাঁকে মুক্তি দিয়েছিলেন। এরপর টাডা-তে (টেররিস্ট অ্যান্ড ডিসরাপ্টিভ অ্যাক্টিভিꦅটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট) অভিযুক্ত ইন্দ্র দাসকেও এই বেঞ্চ বেকসুর খালাস করেছিল। আদালত সেই সময় পর্যবেক্ষণ করেছিল, শুধুমাত্র নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ থাকার স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল এবং টাডা আদালতও সেই স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করে রায় দেয়। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে টাডা-র ৩(৫) নং ধারা সংবিধানের ১৯ এবং ২১ নং ধারাকে লঙ্ঘন করে। পরবর্তীকালে ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট বলে, এই তিনটি মামলা (অরূপ ভূইঞাঁ ও ইন্দ্র দাসের মামলা এবং টাডা বা ইউএপিএ-র ধারার সাংবিধানিক বৈধতা) পৃথক ভাবে ফের শোনা হবে। এর প্রেক্ষিতেই আজ এই উপসংহারে পৌঁছল সুপ্রিম কোর্ট।