বুধবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারির আবেদন নাকচ করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে নতুন আইন নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠাল শীর্ষ আদালত।এ দিন বিতর্কিত আইনের সাংবিধানিক বৈধতা যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিলেও তার জেরে আইনটি কার্যকর করার উপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আদালত জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত সমস্ত আবেদনের শুনানি হবে আগামী ২২ জানুয়ারি তারিখে।এ দিন এই বিষয়ে প্রায় ৬০টি আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল প্রধান বিচার শরদ অরবিন্দ বোবডে, বিচারপতি বি আর গাবাই ও বিচারপতি সূর্যকান্তের সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চে। সাংবিধানিক নীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে, এই অভিযোগে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ জারি সংক্রান্ত ৬০টি আবেদনের মধ্যে প্রথমটি খারিজ করল শীর্ষ আদালত। ধর্মীয় বৈষম্যের অভিযোগে ওই আইন অসাংবিধানিক বলে তা কার্যকর করার উপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন জানিয়েছেন রাজনীতিক-সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্টরা। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশকারী সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও পার্সি ধর্মাবলম্বী শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নিদান থাকলেও মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের সেই সুবিধা দেওয়া হয়নি।বিতর্কিত এই আইনের প্রতিবাদে দেশজুরে প্রতিবাদে পথে নেমেছে ছাত্রসমাজ। প্রথমে উত্তর পূর্ব ভারতে বিক্ষোভ শুরু হলেও দ্রুত দেশের অন্যান্য প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদের আঁচ।দিল্লিতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্বিদ্যালয়ের বিক্ষোভ কেন্দ্র করে গত রবিবার চূড়ান্ত উত্তেজনা ও হিংসা ছড়ায়। ছাত্রদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে নীতির পরোয়া না করে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে পুলিশ। উলটো দিকে প্রশাসনের দাবি, প্রতিবাদের নামে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা।এ দিন সুপ্রিম কোর্টে যে সমস্ত আবেদনের শুনানি হবে, তার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় মুসলিম লিগের কেরালা শাখা। সকালে প্রথম তাদেরই আবেদনের শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। তবে আবেদনে উল্লিখিত সংবিধান অমান্য করার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।এ ছাড়া এ দিনই শুনানি হওয়ার কথা কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ এবং রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি নেতা মনোজ ঝায়ের আবেদনের েদনের।