ইউরোপের ফ্রান্স, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া ও নেদারল্যান্ড আগেই বোরখা পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর এবার সেই পথে হেঁটে সুইজারল্যান্ডও বোরখা পরা বা মুখ ঢাকা পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল। গত বুধবার সুইস পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের এই সংক্রান্ত বিল পাশ হযꦿ়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সুইজারল্যান্ডের জনবহুল জায়গায় নাক, মুখ ও চোখ ঢেকে রাখা বা বোরখা পরা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। এই নির্দেশ অমান্য করলে সে ক্ষেত্রে ১০০﷽০ সুইস ফ্র্যাঙ্ক বা ১১০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হবে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ হল প্রায় ৯২ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: বোরখা পরলেই দিতে হবে ৮০ হাজার টাকা জরি𒆙মানা, সংসদে খসড়া আইন প্রস্তাব এই দেশে
সুইস পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বোরখা ও মুখ ঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৫১ জন সংসদ এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৯ জন সাংসদ। এই বিলটি আগেই সবౠুজ সংকেত পেয়েছিল সুইস পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে। বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ সুইজারল্যান্ডে জনমতের ভিত্তিতে অধিকাং♒শ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২১ সালে সারা দেশে পাবলিক প্লেস এবং ব্যক্তিগত ভবনগুলিতে বোরখা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই গণভোটে ৫১ শতাংশ মানুষ বোরখা নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। সুইজারল্যান্ডের একটি সংগঠন এগারকিনজেন কমিটি ২০১৬ সালে জনবহুল স্থানে বোরখা এবং মুখ ঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করে। এরপর ২০২১ সালে ভোট হয়। গণভোটের ফলাফলকে সুইজারল্যান্ডের জাতীয়তাবাদী সুইস পার্টি কট্টরপন্থী ইসলামের বিরুদ্ধে একটি বড় জয় বলে স্বাগত জানায়।
সুইজারল্যান্ডের প্রাদেশিক ব্যবস্থাকে কমিউন বলা হয়। এই প্রদেশগুলি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য স🥀্বাধীন। এখানকার দুটি কমিউন দক্ষিণ টিকিনো এবং উত্তর সেন্ট গ্যালেন ইতিমধ্যেই বোরখা নিষিদ্ধ করেছে৷ পার্লামেন্টে পাশ করা আইনের উদ্দেশ্য হল কোনও নারী বা পুরুষ যেন মুখ ঢেকে নিজের পরিচয় গোপন করতে না পারে। তবে নতুন নিয়মে কিছু ছাড়ও দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, স্থানীয় রীতিনীতি সম্পর্কিত অনুষ্ঠান এবং থিয়েটারে অভিনয় ইত্যাদির 𒊎ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইউরোপের বাইরে চিন ও শ্রীলঙ্কাত꧑েও বোরখা নিষিদ্ধ রয়েছে। সুইজারল্যান্ডের মোট জনসংখ্যা আনুমানিক ৮৯ লক্ষ। এখানে ৬২.৬ শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান এবং ৫.৪ শতাংশ মুসলিম রয়েছে। দেশে প্রায় ৩০% মানুষ আছেন যারা কোনও ধর্মে বিশ্বাস করেন না। গত কয়েক বছর ধরে জঙ্গি হামলা বাড়ার কারণে এই ধরনের পোশাকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল অনেক দে🐻শ। তার মধ্যে সুইজারল্যান্ডও ছিল। অবশেষে সেখানেও বোরখা নিষিদ্ধ হল।