পঞ্জশির দখল করে নেওয়া হয়েছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের কাছে এমনটাই দাবি করেছে তালিবান। যদিও বিবিসি ওয়ার্ল্ডের এক সাংবাদিকের পোস্ট করা ভিডিয়োয় আফগানিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ দাবি করেছেন, রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছে বিরোধী শক্তি। কিন্তু এখনও পঞ্জশির তাদের হাতেই আছে। রয়টার্সে এক তালিবানি কমান্ডার বলেছে, ‘আল্লাহের আশীর্বাদে আমরা পুরো আফগানিস্তান দখল করেছি। সমস্যা পাকানো লোকজনদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। পঞ্জশির এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।’ যদিও সেই দাবির স্বপক্ষে কোনও অকাট্য প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।তারইমধ্যে টুইটারে বিবিসি ওয়ার্ল্ডের এক সাংবাদিকের পোস্ট করা ভিডিয়োয় আফগানিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘আমরা যে কঠিন পরিস্থিতিতে আছি, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তালিবানি আক্রমণের মুখে আছি। তবে আমরা মাটি কামড়ে পড়ে আছি। আমরা (তালিবানকে) প্রতিহত করেছি।’ যে ভিডিয়ো সালেহ পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিবিসি ওয়ার্ল্ডের ওই সাংবাদিক। টুইটারেও সালেহ বলেছেন, ‘প্রতিহত করার কাজ এখন চলছে এবং চলতে থাকবে। আমি আমার মাটির সঙ্গে আছি, মাটির জন্য আছি এবং সেই মাটির সম্মান রক্ষা করছি।’ সালেহের ছেলে এবায়েদুল্লাহও পঞ্জশির পতনের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। রয়টার্সকে মেসেজে জানিয়েছে, ‘না। এটা ভুয়ো খবর।’ এমনিতে গত ১৫ অগস্ট কাবুল দখল করে নেয় তালিবান। তবে পঞ্জশিরে দাঁত ফোটাতে পারেনি জঙ্গি গোষ্ঠী। পরে অবশ্য উত্তর আফগানিস্তানের সেই প্রদেশে দখলের জন্য তালিবান ঝাঁপায়। তারপর থেকে একাধিকবার তুমুল লড়াইয়ের খবর মিলেছে। দিনকয়েক আগে কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, মঙ্গলবার পঞ্জশিরে হামলা চালিয়েছিল তালিবান ‘জঙ্গিরা’। মিলেছে পালটা জবাব। ৩৪ জন তালিবানি ‘জঙ্গিকে’ নিকেশ করা করা হয়েছে। আহত হয়েছে ৬৫ জন।