তালিবান আফগানিস্তানের দখল নিতেই গোটা বিশ্বে মানবাধিকারের প্রশ্নে চিন্তায় মগ্ন হয়েছিল। তবে পশ্চিমা দেশগুলো এরই মাঝে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের নাগরিকদের উদ্ধার করার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়েছিল। পাশাপাশি অবশ্য তালিবানকেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল যাতে আফগানিস্তান থেকে কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ না ছড়ায়। তবে পশ্চিমা দেশগুলি আফগানিস্তান ছাড়ার আগেই শিকার হল আফগান জঙ্গিদের হামলার। কাবুল বিমানবন্দরের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা তড়তড়িয়ে বাড়ছে। এই আবহে তালিবানের মাথায় জোড়া চিন্তা দেখা দিল।বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দর চত্বরের পরপর দু'টি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৬০ জন আফগান নাগরিকের। এছাড়াও ১৩ জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও ১৫। জানা গিয়েছে মৃত ও আহত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ১৬০। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে কাবুল বিমানবন্দরে এমন বিস্ফোরণের আশঙ্কার কথা পশ্চিমি দেশগুলো তরফে আগেই জানানো হয়েছিল। মানুষকে বিমানবন্দরটি পারতপক্ষে এড়ানোর চেষ্টা করার কথাও বলা হয়েছিল। বিমানবন্দরের এক আধিকারিক আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছিলেন। তারপরই এদিন এই ঘটনা। আফগানিস্তানে জঙ্গি সংগঠনের উপস্থিতি প্রমাণ করল এই হামলা। পাশাপাশি প্রশাসন সামলাতে যে তালিবান অকর্মণ্য, তাও একপ্রকার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা। এর জেরে আন্তর্জাতিক মহলের তরফে চাপ সৃষ্টি করা হবে তালিবানের উপর। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হতে পারে। তাছাড়া যেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দিকে তালিবান তাকিয়ে ছিল, এই হামলার পর তা অলিক স্বপ্নে পরিণত হতে পারে বলে মত অনেক বিশেষজ্ঞের।এদিকে আইএস-খোরাসান কাবুল বিমানবন্দরের এই হত্যালীলার দায় স্বীকার করেছে। আদতে এই জঙ্গি সংগঠন আফগানিস্তান ভিত্তিক। এরা তালিবান বিরোধী। আইএস-এর মতে তালিবান অনেক নরমপন্থী। পুরোনো বেশ কয়েকজন তালিবান জঙ্গিদের নিয়ে গঠিত আইএস-খোরাসান শরিয়ত আইনের আরও কঠোর ব্যাখ্যায় বিশ্বাসী। এই হামলা তালিবানি প্রশাসনে ঘটতে চলা ভবিষ্যতের হামলার ইঙ্গিত মাত্র।