মুনলাইটিং নিয়ে মুখ খুলল টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসেস। সোমবার এই নিয়ে টিসিএস-এর তরফে বলা হল, ‘মুনলাইটিং বিষয়টি আমাদের মূল্যবোধের পরিপন্থী।’ যদিও এটাই তাঁদের শেষ কথা নয়। বলা হয়, ‘সব বিষয় বিবেচনা করে এই বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত জানাবে সংস্থা।’ সংস্থার মুখ্য মানবসম্পদ আধিকারিক মিলিন্দ লক্কড় বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে মুনলাইটিং একটি নৈতিক ইস্যু। কর্মীদের প্রতি টিসিএস-এর দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকার রয়েছে। কর্মীদেরও সংস্থার প্রতি দীর্ঘ🎃মেয়াদী দায়বদ্ধতা রয়েছে।’ এদিকে সংস্থার সিইও রাজেশ গোপিনাথ জানান, সংস্থার নিয়োগ চুক্তি অনুযায়ী টিসিএস-এ কাজ করতে করতে অন্য ꩵজায়গায় কাজ করা যায় না।
একটি চাকরির বেতনে সন্তুষ্ট না হয়ে অনেকেই নিজের ব্যক্তিগত সময়ে অন্য সংস্থার হয়ে কাজ করে থাকেন। স্থায়ী চাকরির পাশাপাশি অন্য কোনও সংস্থা বা ব্যক্তির হয়ে অস্থায়ী আরও একটি কাজ করা নিয়ে বিগত দিনে বেশ বিতর্ক হয়েছে। চাকরির বাইরেও বাড়তি উ🥂পার্জন করার জন্য এভাবে কাজ করাকেই কর্পোরেট ভাষায় মুনলাইটিং বলা হয়। আইটি সেক্টরে অনেকেই এই কাজ করে থাকেন। কোনও সংস্থার জন্য স্থায়ী কর্মচারী হলেও অনেকেই 'ফ্রিল্যান্স' হিসাবে কোডিং করে থাকেন নিজের ব্যক্তিগত সময়ে।
ভারতে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি চাইলেই আরও একটি চাকরি নিতে পারেন। তাতে আইন ভঙ্গ হবে না। কিন্তু দুই চাকরিতেই একই ধরনের কাজ করলে গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয় এবং তা বেআইনি। সম্প্রতি সু🌠ইগি নিজের কর্মীদের ‘মুনলাইটিং’-এর অনুমতি দেয়। এরপর থেকেই এই বিষয়টি খবরের শিরোনামে। সুইগি কর্মীদের ‘মুনলাইটিং’-এর অনুমতি দিলেও তাবড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলি কর্মীদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছে, মুনলাইটিং ধরা পড়লেই যাবে চাকরি। সেই মতো সম্প্রতি উইপ্রো সংস্থার ৩০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করে। যা নিয়ে জোর চর্চা হয়েছিল।