বেলি ডান্স এক প্রাচীন নৃত্যশিল্প। আর পাঁচটা নাচের ফর্মের মতোই শরীরের ভঙ্গিমা, ফিটনেস, প্র্যাকটিস সবই লাগে। কিন্তু স্বল্পবসন, যৌন আবেদনের কারণে সমাজে অনেকেই এই নৃত্যশৈলীকে ভাল চোখে দেখেন না। আর সেই দৃষ্টি𒈔ভঙ্গীরই শিকার হলেন এক শিক্ষিকা। সামাজিক অনুষ্ঠানে বেলি ডান্স করায় চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন তিনি। তাঁকে তালাক দিলেন তাঁর স্বামী।
ঘটনাটি মিশরের। নীল নদে নৌকার উপরে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বেলি ডান্স পারফর্ম্যান্স হচ্ছিল। মজার ছলে তিনি সেই নৃ🐼ত💮্যশিল্পীদের সঙ্গে নাচতে শুরু করেন। সেই সময়ে তাঁর ভিডিয়ো করেন এক সহকর্মী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সেটা নিয়ে কুমন্তব্য করে আপলোড করেন। এরপর ভাইরাল হয়ে যায় সেই পোস্ট।
ভিডিয়োতে তাঁরে ফুলহাতা জামা, মিশরীর স্কার্ফ পরে নাচতে দেখা গ🍌িয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও যৌন আবেদন খুঁজে পান রক্ষণশীলরা।
দাকাহলিয়া গভর্নর𒁏েটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতা করছিলেন আয়া। সেখান থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এদিকে তাঁর এই নাচ নিয়ে বাড়িতেও অশান্তি শুরু হয়। পুরুষদের মাঝে তাঁর বেলি ডান্স ভালভাবে নেননি তাঁর স্বামী। স্ত্রীকে এই 'অপরাধে' তালাক দেন তিনি।
আয়ার এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই ঘটনা মিশরের সামাজিক পরিস্থিতির নমুনা বলে সমালোচিত হয়েছে। এক সাক্ষাত্কারে আয়া জানান, এই একটি ﷺনাচের জেরে তাঁর জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। উপার্জন, সংসার হারিয়েছেন। তিনি আর জীবনে নাচবেন না বলেও প্রতিজ্ঞা করেছেন। অবসাদে আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে মিশরেরই অনেকে আয়াকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের কথায়, বেলি ডান্স তাঁদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে। তাই আয়া কোনও ভুল কাজ করেননি। তাছাড়া সাধারণ পোষাক পরেই ছিলেন তিনি। সামাজিক গোঁড়ামির শিকার তিনি। আয়ার সমর্থনে একটি স্কুলের উপপ্রধান নিজের মেয়ের বিয়েতে নেচে তার ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দেশ তথা আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে আয়াকে পুনরায় চাকরিতে বহাল করা হয়✱। তবে আর কখনও নাচবেন না বলে পণ করেছেন শিক্ষিকা।