ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে ২১ বছর ধরে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের বেতন নিচ্ছিলেন। এমনই অভিযোগ ওঠায় ওড়িশার সরকারি স্কুলের এক শিক্ষককে ২১ বছরের বেতন ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হল। ইতিমধ্ওযে অতিরিক্ত বেতন আদায়ের প্রক্রিয়া শু🔯রু হয়ে গিয়েছে।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাবার মৃত্যুর পর ১৯৯২ সালে পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনে বালিয়াপাতানা উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে অপ্রশিক্ষিত শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্তকুমার সর। সেইসময় তাঁকে নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন জাজপুর ২-র তৎকালীন জেলা শিক্ষা পরিদর্শক। পরবর্তীতে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের শংসাপত্র দেখিয়ে ২০০০ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের বেতনক্রমে বেতন পেতে থাকেন ওই শিক্ষক। যদিও সেই শংসাপত্র ভুয়ো বলে অভিযোগ উঠেছে। যে বিষয়টি সম্প্রতি স💯ামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: Monalisa Das🃏: এখন কোথায় ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’ সেই🍨 অধ্যাপক মোনালিসা দাস? শেষ পর্যন্ত জল্পনার অবসান
জাজপুরের সামাজিক অপরাধ বিভাগের জাতীয় অপরাধ তদন্তকারী ব্যুরোর তরফে জানানো হয়েছে, প্রশান্ত এলাহাবাদের হিন্দি সাহিত্য সম্মেলনের যে শিক্ষা বিশারদ শংসাপত্র (এসবিসি) পেশ করেছিলেন, তা প্রশিক্ষিত শিক্ষকের ꦉশংসাপত্রের সমতুল্য নয়। অর্থাৎ ওড়িশা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের যে শংসাপত্র দেওয়া হয়, তার স🉐মতুল্য শংসাপত্র পেশ করেননি প্রশান্ত।
বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিকর্তা এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সামনে নিয়ে আসা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জাজপুরের জেলা শিক্ষা আধিকারিককে তদন্তের নির্দেশ দেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা অধিকর্তা। নির্দেশ মতো বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেন জাজপুরের জেলা শিক্ষা আধিকারিক। তদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়, প্রশান্ত যে শংসাপত্র দাখিল করেছেন, তা সঠিক নয়। তিনি প্𒆙রশিক্ষিত শিক্ষকদের বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন পাওয়ারও যোগ্য নন।&🐷nbsp;
সেই পরিস্থিতিতে চলতি বছরে জুলাই থেকে প্রশান꧙্তক💯ে অপ্রশিক্ষিত বেতনক্রমে আওতায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে গত ২১ বছর ধরে যে অতিরিক্ত বেতন পেয়েছেন, তা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকার। জেলা শিক্ষা আধিকারিক স্পষ্টভাবে বলেছেন, 'ওই সময়ের মধ্যে যে অতিরিক্ত টাকা পেয়েছে, তা আমরা ফেরত নেব।'