এক🃏সময় তিনি একজন বন্দুকধারী মাওবাদী ছিলেন। পুলি🔯শের বিরুদ্ধে বহু গুলির লড়াই করেছেন। আর তিনিই এখন তেলাঙ্গানার নবনির্বাচিত কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী। তিনি হলেন দানাসারি অনুসূয়া। তিনি সীতাক্কা নামেও পরিচিত। বৃহস্পতিবার রাজ্যের এলবি স্টেডিয়ামে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন দানাসারি। তাঁর শপথ গ্রহণের পরেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: তড়িঘড়ি সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ তেলাঙ্💖গানার ডিজিপির, পদক্ষেপ ECর
এদিন যখন শপথ নেওয়ার জন্য তাঁর নাম ঘোষণা করা হয় তখন স্টেডিয়ামে অবস্থিত মানুষজন উচ্চস্বরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজন তাঁকে শপথ পাঠ করানোর আগে তিনি মঞ্চে উঠে এক মুহুর্তের জন্য চুপ থেকে যান এবং হাত জোড় করে প্রতিক্রিয়া জানান। শপ🤪থ নেওয়ার পরে, তিনি মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে করমর্দন করেন। পরে দেখা যায়, দানাসারি কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খগড়ে এবং সোনিয়া গান্ধীর কাছে যান। সেখানে তাঁদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ চান। সোনিয়া গান্ধী তাঁকে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানান। পাশে ছিলেন, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁদের সঙ্গেও করমর্দন করেন দানসারি।
কে এই নেত্রী?
🤡৫২ বছর বয়সি এই নেত্রী তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত মুলুগ আসন থেকে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। কোয়া উপজাতি থেকে আসা দানাসারি অল্প বয়সেই মাওবাদী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। তখন তিনি ওই এলাকায় সক্রিয় একটি সশস্ত্র দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি পুলিশের সঙ্গে অনেক গুলির লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এনকাউন্টারে তিনি স্বামী ও ভাইকে হারিয়েছিলেন। অবশেষ ১৯৯৪ সালে তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এরপরেই শুরু হয় তাঁর জীবনের নতুন অধ্যায়।
আত্মসমর্পণের পর তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন এবং আইনে স্নাতক হন। তখন তিনি ওয়ারাঙ্গলের একটি আদালতে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। প্রথমে তিনি তেলেগু দেশম পার্টিতে (টিডিপি) যোগ দেন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে 🍸মুলুগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেইসময় জয়লাভ করতে না পারলেও ২০০৯ সালের নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে জয়লাভ করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি তৃতীয় স্থানে ছিলেন।পরে ২০১৭ সালে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। কোভিড অতিমারীর সময় মানুষের সেবা করে শিরোনামে এসেছিলেন এই নেত্রী। তিনি বহু মানুষকে সেই সময় খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করেছিলেন।
গত বছ𒁃র তিনি ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।এরপরেই তিনি বলেছিলেন, ‘ছোটবেলায় আমি কখনও ভাবিনি যে আমি মাওবাদী হব। আমি কখনই ভাবিনি যে আমি একজন আইনজীবী হব বা বিধায়ক হব বা পিএইচডি করব।’ এদিন তিনি বলেন, ‘মানুষের সেবা করা এবং জ൩্ঞান অর্জন করা আমার অভ্যাস। আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এটি করা বন্ধ করব না।’