রুশ সামরিক প্র൲শিক্ষণ কেন্দ্রে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১১ জনকে খুন করল জিহাদি মনোভাবাপন্ন দুই ‘স্বেচ্ছাসেবক’। জানা গিয়েছে, সোভিয়েতভুক্ত কোনও এক দেশের বাসিন্দা এই দুই বন্দুকবাজ রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করার জন্য নাম 🤡লিখিয়েছিল। তবে রুশ কর্তৃপক্ষ তাদের জঙ্গি মানসিকতার বিষয়ে অবগত ছিল না। এই আবহে এই বন্দুকবাজরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থাকা অন্যান্যদের ওপর গুলি চালায়। পরে দুই বন্দুকবাজ ‘জঙ্গি’কেই খতম করা হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাশিয়ার প্রচিরক্ষা মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে বলে, ’কমনওয়েলথ অফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটের দুই নাগরিক ১৫ অক্টোবর বেলোরোদ অঞ্চলে পশ্চিমি সামরিক জেলায় একটি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়েছে।’ উল্লেখ্য, প্রাক্তন সোভিয়েতভুক্ত দেশগুলিকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল ’কমনওয়েলথ অফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেট’। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়, ইউক্রেনে একট🦋ি বিশেষ সামরিক অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল কেন🦹্দ্রে। সেই সময় এই হামলা চালানো হয়। এর জেরে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জন জখম হয়েছে। জখম সৈনিকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই খবর আসতে শুরু করেছিল যে রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্য এবং প্রাক্তন সোভিয়েত দেশগুলি থেকে বহু জিহাদি মনোভাবাপন্ন জঙ্গিদের সেনায় অন্তর্ভুক্ত করছে। এমনকি রাশিয়ার জেলে থাকা সাজা প্রাপ্ত দোষীদের হাতেও অস্ত্র তুলে দেয় রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ। এই আবহে অ𓃲নেকেরই সঠিক ভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি। এদিকে গত ২১ সেপ্টেম্বর পুতিন সামরিক গতিবিধি বৃদ্ধির ঘোষণার পর থেকে সেনায় প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগেরই কোনও পর্যালোচনা করা হয়নি। জানা গিয়েছে, যে দুই বন্দুকবাজ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদেরও কোনও মানসিক বা শারীরিক পরীক্ষা করা হয়নি সেনায় অন্তর্ভুক্ত করার আগে।