লোকমাণ্য তিলক জাতীয় পুরস্কার পেলেন সেরাম প্রতিষ্ঠাতা তথা সংস্থার চেয়ারম্যান ডঃ সাইরাস পুনাওয়ালা। পুরস্কার পেয়েই মোদী সরকারকে ভাসালেন প্রশংসায়। আদর পুনাওয়ালার বাবার অকপট স্বীকারোক্তি, কোভিশিল্ড টিকা বাজারে এত জলদি আসতে পেরেছে কারণ কোনও আধিকারিককে মাস্কা পালিশ করতে হয়নি। তিনি পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করে বলেন, 'আগেকার দিনে টিকা প্রস্তুতকারকদের জীবন খুব কঠিন ছিল। আমলা-আধিকারিকদের পা🍨য়ে পর্যন্ত পড়তে হত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদীর আনা সংস্কারের ফলে লাইসেন্সরাজের সমাপ্তি ঘটেছে।'
তবে কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে এমন কিছু করতে হয়নি। তিনি জানান এই টিকা তৈরির সময় খুব সাহাযঅয করেছে রকার। অফিসের সময় পার করেও ফোন করলে ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে ফোন ধরা হত এবং কোনও বিষয়ে সমস্যা হলে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হত। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র ভারতেই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা প্রস্তুত🅺কারক সংস্থা পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট। আদর পুনাওয়ালার বাবা নিজে দেশের ষষ্ঠ ধনীতম ব্যক্তি। ফোর্বসের কোটিপতিদের তালিকাতেও তাঁর নাম রয়েছে।
এদিকে এদিন টিকাকরণ নিয়েও অনেক কিছু বলেন সেরাম চেয়ারম্যান। তিনি জানান, দুই মাসের ব্যবধানে কোভিশিল্ড নেওয়া হলে তা সবথেকে বেশি কার্যকর হতে পারে। তবে টিকার আকালের জন্য সরকার সেই ব্যবধান তিন মাস করেছে। এদিকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শও দেন সাইরাস। তিনি জানান, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরে তৃতীয় ডোজটি নেওয়া যেতে পারে। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই সেরামের প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার কর্মীকেও ꦿকরোনা টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।