সোমবার বাংলাদেশের প্র🐼াক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই চরম অরাজকতা তৈরি হয়েছে। বাড়িঘর, সম্পত্তি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট থেকে শুরু করে খুনের ঘটনা ঘটছে। আক্রান্ত হচ্ছে পুলিশ কর্মীরা। সহিংসার বলি অব্যাহত রয়েছে বাংলাদেশে। বুধবারও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৬ জন হলেন পুলিশ কর্মী। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পুলিশের জরুরি পরিষেবা করত মুখ থুবড়ে পড়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের জরুরি পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন হল ৯৯৯। সেখানে ফোন করেও পুলিশের সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের তরফে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: BSFএর গুলি খাব, তবু ফেরত যাব না, সীমান্ত পেরোতে বাধা পেয়ে বললে🔯ন কয়েক শ' শরণার্থী
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুষ নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। বাড়িঘর, অফিস, দোকান, মন্দিরের সম্পত্তি লুটপাট করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না গবাদি পশু এমনকী পুকুরের মাছও। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের কাছে বারবার সাহায্য চেয়েও পাচ্ছেন না সেখানকার মানুষজন। শুধু তাই নয়, পুলিশের উপরেও হামলা চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের তরফে জানা গিয়েছে, উর্দিধারীরাও রক্ষা পাচ্ছেন না। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের উপর হামলা হয়েছে। ঘটেছে থানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা। এই অবস্থায় বাংলাদেশ পুলিশ কর্মীদের একটি সংগ▨ঠন নি♎রাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিরও ডাক দিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের পুলিশি ꦐব্যবস্থা খুবই অল্পসংখ্যক লোক নিয়ে চলছে। যার ফলে জরুরি পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশের এক নাগরিকের কথায়, অরাজক এই পরিস্থিতিতে দূরদূরান্তে কোথাও কোনও পুলিশ তো দূরের কথা, সেনাকেউ দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসিনা দেশত্যাগের পর থেকেই পুলিশের কাছে হেল্প লাইনে মূলত নির্যাতন, লুটপাট, ডাকাতি অথবা অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আসছে। তবে সেক্ষেত্রে বলা হচ্ছে পর্যাপ্ত পুলিশ নেই। শুধু তাই পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার সময় ফোন করেꦜও সাহায্য পায়নি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেদেশের পুলিশের উপ মহানির্দেশক জানিয়েছেন, সীমিত পুলিশ কর্মী নিয়ে কাজ চলছে। ফলে জরুরী পরিষেবার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।