রাজনীতিতে অবসর বলে কিছু হয় না। তাই মানুষকে সেবা করার আদর্শে বিশ্বাস করে রাজনীতি করেন তাদের কখনই অবসর নেওয়া উচিত নয়। এমনই বার্তা দিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি মনে করেন, যারা এই আদর্শে বিশ্বাস করেন তাদের শেষ অবধি জাতির সেবা করা উচিত। প্রাক্তন কে♈ন্দ্রীয় মন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের আত্মজীবনী ‘রাজনীতিতে পাঁচ দশক’ বইয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সোমবার মহারাষ্ট্রে এ কথা বলেছেন ৮২ বছর বয়সি কংগ্রেস নেতা।
আরও পড়ুন: বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে বুলডোজার চালা🌳চ্ছে বিজেপি, অভিযোগ কংগ্রেসের
এদিন তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি রাজনীতি থেকে কারও অবসর নেওয়া উচিত নয়। আমি এটা বলছি কারণ যারা একটি আদর্শে বিশ্বাসী, যারা জাতিকে সেবা করতে চান, সম্প্রদায়ের সেবা করতে চান, তাদের শেষ অবধি তা করা উচিত। জনগণকে জাগিয়ে তোলা উচিত।’ সুশীল কুমার শিন্ডের প্রসংশা করে মল্লিকার্জুন বলেন, কংগ্রেস পার্টিকে শক্তিশালী করতে এবং জনসাধারণের কাছে মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার এখনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বয়সের কথা উল্লেখ করে সুশীল শিন্ডেকে উৎসাহিত করতে মল্লিকার্জুন বলেন, ‘আপনার বয়স মাত্র ৮২-৮৩ বছর মাত্র। মোরারজি দেশাইয়ের দিকে তাকান। আমি বিশ্বাস করি রাজনীতিতে কা💖রও অবসর নেওয়া উচিত নয🔯়। যারা তাদের আদর্শে বিশ্বাসী, জাতির সেবা করতে চান, সম্প্রদায়ের সেবা করতে চান তাঁদের শেষ নিঃশ্বাস অবধি রাজনীতি করে যাওয়া উচিত।’
উল্লেখ্য, মোরারজি দেশাই ১৯৭৭ সালে ৮১ বছর বয়সে ভারতের সবচেয়ে বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা খাড়গে স্পষ্ট করে বলেছেন, যে রাজনীতি কখনই মন্ত্রিত্ব বা অন্য কোনও পদের জন্য করা উচিত🅷 নয়। অর্থাৎ ক্ষমতার জন্য উচিত নয়। বরং দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক দলের জন্যই কাজ করতে হবে। এছাড়াও, কেউ জীবনে যা কিছু শিখেছে বা যা কিছু অর্জন করেছে তা জনগণের কাছে ফিরিয়🐽ে দিতে হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে শিন্ডে তাঁর পাঁচ দশকের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দলের জন্য অনেক কিছুই করেছেন এবং আগামী দিনেও কাজ চালিয়ে যাবেন। উল্লেখ্য, ২০০৩ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের ম𓃲ুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শিন্ডে।𒀰 এছাড়াও ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তার আগে ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অন্ধপ্রদেশের রাজ্যপালের দায়িত্বও সামলেছেন। এর পাশাপাশি কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছেন শিন্ডে। প্রাক্তন মন্ত্রীর আচরণের জন্যও প্রশংসা করেছেন খাড়গে।