কনফার্মড টিকিট সত্ত্বেও শান্তিতে ট্রেনে যেতে পারছেন না, মাঝপথে টিকিটহীন যাত্রীরা জুলুমবাজি করছে, আসন দখল করে নিচ্ছে, দুটি সিটের মাঝে শুয়ে পড়ছে, বুক ফুলিয়ে গা জোয়ারি করছে - দূরপাল্লার ট্রেনের যাঁরা যাতায়াত করেন, তাঁদের কাছে সেই দৃশ্যগুলি একেবারেই নতুন নয়। বরং এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠলে আদতে কনফার্মড টিকিট থাকা যাত্রীদের প্রহসনের মুখে পড়তে হয়। যাত্রী൲রা হামেশাই অভিযোগ তোলেন যে স্লিপার ক্লাসে তাণ্ডব চলছে। এসি থ্রি'টিয়ারেও হামেশাই জুলুমবাজির অভিযোগ ওঠে। আর যতদিন যাচ্ছে, তত বাতানুকূল টু'টিয়ার কামরাতেও একই হাল হচ্ছে বলে 𓆏অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। তারইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেরকমই একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে গেল। যে ভাইরাল ভিডিয়োয় দাবি করা হয়েছে, হাওড়া-দেরাদুন কুম্ভ এক্সপ্রেসের এসি টু'টিয়ার কামরা ‘হাইজ্যাক’ করে নিয়েছে টিকিটহীন যাত্রীরা। পুরো গিজগিজ করছে ভিড়। সেই ভিড়ের মধ্যে একজন রেল পুলিশকে দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োয় যেটুকু দেখা গিয়েছে, তাতে তাঁকে সেই টিকিটহীন যাত্রীদের হটাতে দেখা যায়নি।
ওই ভিডিয়োটি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) কবে তোলা হয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। নিজের 'এক্স' অ্যাকাউন্টে ওই ভিডিয়ো শেয়ার করে ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস (আইএফএস) অফিসার আকাশ কে বর্মা শুধু লিখেছেন, ‘১২৩৬৯ (হাওড়া-দেরাদুন কুম্ভ এক⛦্সপ্রেস) ট্রেনে যাওয়া এক বন্ধু এই ভিডিয়োটা দিয়েছে। টিকিটহীন জবরদখলকারীরা এসি২ কোচকে হাইজ্যাক করে নিয়েছে। যাত♏্রীদের হেনস্থা করছে। তাঁদের বার্থ নিয়ে নিচ্ছে। চেন টানছে। অধিকাংশ যাত্রীই বয়স্ক। অবিলম্বে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেওয়া উচিত।’
কোথায় সেই ঘটনা ঘটেছে, তা জানাননি আইএফএস অফিসার। তবে ওই টুইটে ভারতীয় রেল মন্ত্রক এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দানাপুরের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারকেও ট্যাগ করায় বোঝা গিয়েছে যে বিহার বা উত্তরপ্রদেশের কাছে কোথাও সেই ঘটনা ঘটেছে। আর তাঁর টুইটের পরে রেলের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু ওই ঘটনাটা যে স্রেফ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, তা মোটেও নয়। বরং দূরপাল্লার ট্রেনে কার্যত সেটাই রুটিন হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। আর শুধু কোনও নির্দিষ্ট রুটে সেই সমস্যা সীমাবদ্ধ নেই। বিভিন্ন রুটেই সেই একই দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হ🐠চ্ছে যাত্রীদের। যাঁরা নিয়ম মেনে ൲টিকিট কেটে যাতায়াত করেন।
সম্প্রতি ১২৮৬৩ হাওড়া-স্যার এম বিশ্বেশরায়া টার্মিনাল বেঙ্গালুরু সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে একইরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি স্কুলের শিক্ষক। তাঁর দাবি, চার মাস আগে টিকিট কেটে রিজার্ভেশন করিয়েছিলেন। অথচ নিজের সিট পেতে গিয়েই রীতিমতো ঝামেলা করতে হয়। শৌচাগারে যাওয়ার জো ছিল না। ওই জায়গাটা পুরো দখল করে নিয়েছিল টিক⛎িটহীন যাত্রীরা। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেসের এক যাত্রীর।