টিকটক তারকা লীনা মুখোপাধ্যায় নামে পরিচিত লিনা লুৎফিয়াওয়াতিকে একটি ভিডিয়োর জন্য দু’বছরের কারাদণ্ড এবং বিপুল টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযো𝔉গ, তিনি শুয়োরের মাংস খাওয়🗹ার আগে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মতো করে প্রার্থনা করেছিলেন।
লীনা মুখোপাধ্যায় টিকটকে খুবই জনপ্রিয়। তাঁর দুই মিলিয়নেরও বেশি ফল꧑োয়ার। চলতি বছরের মার্চ মাসে ইন্দোনেশিয়𝔉ার পর্যটন হটস্পট বালিতে ভ্রমণ করার সময় ভিডিয়োটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। ইন্দোনেশিয়ার বড় সংখ্যক মানুষ মুসলমান হলেও এই জায়গাটি হিন্দু প্রধান। যে ভিডিয়ো নিয়ে বিতর্ক, সেখানে তাঁকে ‘বিসমিল্লাহ’ (আরবীতে অর্থ ‘আল্লাহর নামে’) বলে শুয়োরের মাংস খেতে দেখা যায়। এর পরে তাঁর মুখে ফুটে ওঠে একরাশ বিরক্তি।
ভিডিয়োটি দ্রুত লক্ষ লক্ষ ভিউ পায়। এবং পাশাপাশি ব্যাপক সমালোচনাও হয়। বিশ্বের বৃহত🐓্তম মুসলিম সংখ্🐓যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া। শুয়োরের মাংস খাওয়া ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
মেꦇ মাসে, লীনার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল, যা জাতি, ধর্মকে লক্ষ্য করে শত্রুতার একটি কাজ বলে বিবেচিত হয়েছিল। ১৯ সেপ্টেম্বর সুমাত্রার পালেমবাংয়ের একটি আদালত তাঁকে ধর্ম এবং গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা ছড়ানোর’ জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে। আদালত রায় দিয়েছে যে লুৎফিয়াওয়াতি ‘ধর্মের ভিত্তিতে ঘৃণা বা ব্যক্তি/গোষ্ঠী শত্রুতꦯাকে উস্কে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এমন তথ্য ছড়িয়েছিলেন।’
দুই বছরের কারাবাসের শাস্তির পাশাপাশি লীনা মুখোপাধ্যায়ের যথে🍷ষ্ট জরিমানাও রয়েছে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তার জেলের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হতে পারে।
রায়ের পর লিনা মুখোপাধ্যায় তার শাস্তꦏির কঠোরতা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। ‘আমি জানি যে আমি ভুল, কিন্তু আমি এই শাস্তি আশা 🅰করিনি’, এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মেট্রোটিভিতে সাংবাদিকদের বলেন তিনি।
এই মামলাটি ইন্দোনেশিয়ায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় সংবেদনশীলতা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা উস্কে দিয়েছে। সেই দেশে 𓂃ক্রমশ জনপ্রিয়তা বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার।ꦕ এর ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়েও চিন্তায় অনেকে।