আজ, মঙ্গলবার মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ করল তৃণম✤ূল কংগ্রেস। শিলং থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্তেহারে মেঘালয়ে ক্ষমতায় এলে তৃণমূল কেমন সরকার চালাবে, তার একটা রূপরেখা তুলে ধরা হল। যদিও এই ইস্তেহারের ছত্রে ছত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাপ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যেভাবে তিনি বাংলার মꦜানুষের পাশে আছেন এখানেও সেসব তুলে ধরা হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। এখানে মেঘালয়ের ৬০টি আসনের মধ্যে ৫২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এদিন ইস্তেহার নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এগুলি কোনও প্রতিশ্রুতি নয়, প্রতিজ্ঞা। যখন কোনও অঙ্গীকার নেওয়া হয়, তখন শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত তা রাখার চেষ্টা করব। প্রত্যেকের স্বাধীনতা রক্ষা করা হবে। মানুষের অধিকার রক্ষা করার অঙ্গীকার নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ইস্তেহার একটি ভিশন। বিশ্বকে আমরা দেখাব মেঘালয়ের মানুষ কী করতে পারেন।’ অভিষেকের সঙ্গে আজ ইস্তাহার প্রক๊াশের কর্মসূচিতে ছিলেন মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা, মেঘালয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চালর্স, মেঘালয় তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি জর্জ লিংডো, চালর্স লিংডো, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং মেঘালয় তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক তথা বাংলার মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
কী আছে এই ইস্তেহারে? অভিষেকের কথা অনুযায়ী, মেঘালয়ে ক্ষমতায় এলে বাংলার মতোই এই রাজ্যের মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০০০ টꦰাকা করে মাসে দেবে তৃণমূল সরকার। এখানে ১০টি বিষয়কে সামনে রে꧂খে জানানো হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে খাসো ও গারো ভাষাকে স্বীকৃতি দেবে। তাঁর কথায়, ‘আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে মেঘালয়ের 🌠মানুষকে উপেক্ষা করে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। প্রত্যেক মানুষের কাছে আমরা কৈফিয়ত দিতে বাধ্য থাকব।’ একইসঙ্গে এখনকার শাসককে আক্রমণ করে বলেন, ‘তৃণমূল যখন প্রথম মেঘালয়ে পা রাখে, আমাদের বহিরাগতের তকমা দেওয়া হয়েছিল। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, নির্বাচন ঘোষণার পর আমꦚরাই প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে ইস্তেহার প্রকাশ করছি। আর যাঁরা আমাদের বহিরাগত তকমা দিয়েছিলেন, তাঁরা এখনও পর্যন্ত কিছু করতে পারেনি। মুকুল সাংমা বা চার্লস পিনগ্রোপ বহিরাগত! আমি বিজেপির কাছে জানতে চাই, তাদের কি সৎ সাহস আছে? তাঁদের কোনও জাতীয় নেতা এসে মেঘালয়ে বলতে পারবেন যে, দিল্লি বা গুয়াহাটি থেকে মেঘালয় শাসন করা হবে না। গারো এবং খাসির মানুষই এই রাজ্য পরিচালনা করবেন! বলতে পারবে না।’
আর মেঘের রাজ্যে কী করা হবে? এদিন ইস্তেহারে সেই ভিশন তুলে ধরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি বলেন, ‘আমি বলে যাচ্ছি, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে এখানে সরকার চালাবে মেঘালয়ের মানুষ, আমরা না। এখানে উন্নয়নের অনেক খামতি রয়েছে। এখানে ১০ অঙ্গীকার তৈরি হয়েছে। দরিদ্রমুক্ত মেঘালয় গঠন, ডবল ডিজিটের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। নতুন এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং কুটির শিল্পে চার হাজার নতুন কর্মসংস্থান,ꦗ বৈজ্ঞানিক এবং স্থায়ী খনি সংস্করণ, পাঁচ বছরের মধ্যে ৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থান, দ্বাদশ শ্রেণি থেকে কলেজ-ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১০ লক্ষ ল্যাপটপ দেওয়া হবে। নতুন করে ‘মেঘালয় মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোর✃েশন’, জল, বিদ্যুৎ, পর্যটন ঢেলে সাজানো হবে।’ মোট ৬৪ পাতার ওই ‘অঙ্গীকারপত্র’ ছুঁয়ে গিয়েছে মেঘালয়ের প্রতিটি বিষয়কে।