এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় খবর সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিতে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১০০ দিনের কাজে বাংলাকে গত তিন অর্থবর্ষে একটি নয়া 🐓পয়সাও দেওয়া হয়নি। সুতরাং বাংলার ꦚযে বকেয়া আছে সেটা প্রমাণ হয়ে গেল। বঙ্গ–বিজেপি নেতারা এখন চাপে পড়ে গেলেন। কারণ সঠিক প্রমাণ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, রবিবার রাজ্যসভার নথি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। আর তাতেই হাটে হাঁড়ি ভেঙে গেল।
বাংলাকে বঞ্চনা করার আওয়াজ অনেকদিন 𝐆ধরেই তুলছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, মন্ত্রী–সাংসদরা। কিন্তু বারবারই নানা কথার জাগলারি করে কেন্দ্রীয় সরকার তা ঘুরিয়ে দিচ্ছিল। এবার নিজেরা রাজ্যসভায় নথি পেশ করেছে। সেখানে কোন রাজ্যকে কত টাকা আবাস এবং একশো দিনের কাজে দেওয়া হয়েছে তার উল্লেখ রয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলার ভাগ্য শুধুই শূন্যতা জুটেছে। এই একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে সংসদে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। এমনকী বাংলাকে টাকা দেওয়া হয়ে থাকলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু তা করা হয়নি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে একশো দিনের কাজ এবং টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স🥃রকার। এই অভিযোগ বারবার তুলে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তখন থেকে এখন তিনটি অর্থবর্ষে কত টাকা বাংলাকে দেওয়া হয়েছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছিল। তারপর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের একটি নথি হাতে চলে আসে তৃণমূল কংগ্রেসের। যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল, বাংলাকে একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়া হয়নি ওই তিন অর্থবর্ষে। এবার রাজ্যসভায় দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের নথি প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মাဣমলায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে তলব, ইডির ডাকে সাড়া দিতে প্রস্তুতি
এই একশো দিনের টাকা যা রাজ্যের গরিব মানুষের বকেয়া ছিল সেটা দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরꦆকার। যা দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। সেখানে কেন্দ্রের নেতা মন্ত্রীরা একশো দিনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে টাকা আটকে রেখেছিল। আর সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, কোটি কোটি টাকা বাংলাকে দেওয়া হয়েছিল। সেটা যে মিথ্যে তথ্য আজ ডেরেক ও’ব্রায়েন যে নথি সামনে এনেছে তাতে স্পষ্ট হয়েছে। এই নথি রাজ্যসভায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারই। সুতরাং তা প্রকাশ্যে চলে আসায় বিজেপি সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় ম🎃ন্ত্রীদের বিড়ম্বনা বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।