ওয়াকফ বিল নিয়ে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির মিটিং। আর সেখানে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আর তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মধ্য়ে বাক বিতন্ডা একেবারে চরমে ওঠে। এসবের মধ্যে কাঁচের বোতলও ভেঙে ফেলেন কল্যাণ। এমনকী সেটা ভেঙে তিনি কমিটির চেয়ারম্যান কথা বিজেপি এমপি জগদম্বিকা পালের দিকে ছুঁড়ে দেন বলে🌊ও অভিযোগ এসব করতে গিয়ে তাঁর আঙুলে আঘাত লেগেছে।
এদিকে গোটা ঘটনার পরে শোরগোল পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে। তবে বর্তমানে এর ব্যাখা দিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, আইনের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত সেদিন অভিজিৎ গাঙ্গুলি আমার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তুলেছিলেন সাংবাদিকদের সামনে। মূলত আইন ভাঙা নিয়ে। সেদিন প্রথমে নাসির ও অভিজিৎ গাঙ্গুলির মধ্য়ে কথাকাটাকাটি হয়েছিল। এরপর তি⛄নি 🐻আমাকে হেনস্থা করা শুরু করলেন। আমাকে, আমার মাকে, আমার বাবাকে, আমার স্ত্রীকে..। সেই সময় চেয়ারম্যান ছিলেন না।
এদিকে চেয়ারম্যান আসার পরে আমার উপর কঠোর মনোভাব দেখাতে শুরু করেন। এটা শুনেই আমি হতাশ হয়ে যাই। আমি বোতলটা টেবিলে ভাঙি। কিন্তু চেয়ারম্যানের দিকে বোতল ছোঁড়ার কোনও অভিপ্রায় আমার ছিল না। তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের কোনও ক্ষমতা ꦚনেই মেম্বারকে সাসপেন্ড করার। একমাত্র স্পিকাౠর এটা করতে পারেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় কলকাতা হাইকোর্টের পচা অ্য়াডভোকেট।
ঘটনার পরে জগদম্বিকা পাল বলেছিলেন, ‘আমার ৪০ বছরের সংসদীয় জীবনে আমি নানা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। তখনও নান😼া মতপার্থক্য হয়েছে। কিন্তু আজকে কী ঘটল! আমরা কখনও ক🅷ল্পনাই করতে পারি না এমন ঘটনা ঘটতে পারে।’
সেই সঙ্গেই তিনি বলেছিলেন, ‘এটা গণতন্ত্রের উপর আঘাত। আমি বিষয়টি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে জানিয়েছি। এটা সবচেয়ে বড় ঘটনা যা সংসদে প্রথম ঘটল। তার জেরে আমাদের বৈঠক মুলতুবি করে দিতে হয়। ওড়িশার দু’জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। একজন সিনিয়র আইনজীবী এবং একজন প্রাক্তন𝕴 বিচারপতি। দেশের কাছে কেমন বার্তা গেল! এমন ব্যবহার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবা উচিত। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও জায়গা নেই। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে এখন আমাকে অভিযুক্ত করেছে। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে নালিশ করতে পারতেন। আমি ইস্তফা দিতে তৈরি।’
তবে এবার সেই ঘটনার নানা সাꦉফাই দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ঘটনাটি কী হয়েছিল সেটাও জানিয়েছেন তিনি।