পঞ্চায়েত ভোটের হিংসার বিষয়ে খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে আসতে চলেছে বিজেপির ফ্যক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। আর এরই মাঝে এবার মণিপুরে দলীয় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, আগামী ১৪ জুলাই তৃণমূলের পাঁচ সাংসদ যা♕বেন হিংসা কবলিত মণিপুরে। রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেন, সুস্মিতা দেব এবং লোকসভার সদস্য কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন এই প্রতিনিধি দলে। এদিকে পঞ্চায়েত হিংসা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল। ৪ সদস্যের দল দু’এক দিনের মধ্যেই রাজ্যে পৌঁছবে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, দলের নেতৃত্বে থাকছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।
এদিকে তৃণমূলের মণিপুর সফর প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি আজ বলেন, 'এখানে গণতন্ত্র বেঁচে আছে কিনা, তা দেখতཧে গোটা দেশে🐈র মানুষ বাংলায় আসছে। আর তৃণমূল যাচ্ছে মণিপুরে। এসব চালাকি করে বেশিদিন চলে না। এরা দিল্লি যাবে, বিহার যাবে , উত্তরপ্রদেশ যাবে। আর এই রাজ্যে পাড়ায় পাড়ায় খুন খারাপি চলবে। রোজ মৃত্যু হবে। লোক ত্রাহি ত্রাহি করবে। রাজ্যপালকে জেলায় জেলায় ঘুরতে হবে। তারপরেও এরা নির্লজ্জের মতো অন্য রাজ্যে যাবে।'
উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার 🥂জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে🎐, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে কুকি ‘জঙ্গিরা’ অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই আবহে কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে সেই রাজ্যে।
প্রসঙ্গত, ইম্ফল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মৈতৈ জনজাতি। তবে তারা সম্প্রতি দাবি তুলেছে যে তাদের তফসিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। তাদের এই দাবির বিরোধ জানিয়েছে স্থানীয় কুকি-জো আদিবাসীরা। এই আবহে গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ꦦন একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল। সেই মিছিল ঘিরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে চূড়াচাঁদপুর জেলায়। এদিকে তফশিলি উপজাতির ইস্যুর পাশাপাশি সংরক্ষিত জমি এবং সার্ভে নিয়েও উত্তাপ ছড়িয়েছে। এই আবহে গত এপ্রিল মাসে এই চূড়াচাঁদপুর জেলাতেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সভাস্থলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের সদস্যরা। এদিকে এই জেলা থেকে আদিবাসী বনাম মৈতৈদের এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য জেলাতেও। আর এখনও পর্যন্ত সেই হিংসা প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ।