চাহিদা বৃদ্ধি করতে আবাসন ক্ষেত্রের ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের আয়কর ছাড় দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দু'কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ আয়কর ছাড় পাবেন প্রথমবারের ক্রেতারা। সুবিধা পাবেন বিক্রেতারা। বৃহস্পতিবার 'আত্মনির্ভর ভারত অভিযান'-এর আওতায় তৃতীয় দফার আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজারে চাহিদা বাড়াতে সেই প্রকল্পের আওতায় আয়কর আইনে পরিবর্তনের পথে হেঁটেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তিনি জানান, আয়কর আইনের ৪৩ (সিএ) ধারার আওতায় সার্কেল রেট (স্ট্যাম্প ডিউটি) এবং চুক্তির মূল্যের (বাড়ির দাম) মধ্যে যে পার্থক্য ১০ শতাংশ ছিল, তা বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সুবিধা মিলবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে বাড়ির দাম সর্বোচ্চ দু'কোটি টাকা হতে হবে এবং ক্রেতাদের প্রথমবার বাড়ি কিনতে হবে। সেই সুবিধার ফলে আবাসন ক্ষেত্র অত্যন্ত লাভবান হবে এবং মধ্যবিত্তরা বাড়ি কিনতে আগ্রহী হবেন বলে দাবি করেছেন সীতারামন। বিষয়টি নিয়ে অ্যানারক প্রপার্ট কনসালট্যান্টসের চেয়ারম্যান অনুজ পুরী বলেন, ‘সার্কেল রেট এবং চুক্তির মূল্যের মধ্যে পার্থক্য ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবে ভালো। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেকার সেই সুযোগের ফলে বাড়ির ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েরই লাভ হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ি ক্রেতারা বর্তমানে যে সুযোগ-সুবিধা এবং ছাড় পান, তার সঙ্গে স্পষ্টতই আর্থিক সুবিধা যোগ করবে এই সিদ্ধান্ত। বাড়তি হিসেবে এই বাড়ির ক্ষেত্রে আয়কর আইনের ৫৬ (২) (এক্স) আইনের আওতায় শর্তসাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ২০ শতাংশ ছাড়ের ফলে নিশ্চিতভাবে চাহিদা বাড়বে। বিশেষত সাশ্রয়ী এবং মাঝারি দামের বাড়ির (ক্ষেত্রে তা হবে)।'তিনি জানান, নয়া ছাড়ের ফলে বিক্রেতাদের কাছে যে বাড়ি অবিক্রিত পড়ে আছে, তাও বিক্রি হয়ে যাবে। দেশের সাতটি প্রধান শহরে ১.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দামের ৫.৪৫ লাখ অবিক্রিত বাড়ি পড়ে আছে। ১.৫ কোটি টাকা থেকে ২.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত সেই সংখ্যাটি ৪৯,২৯০। অ্যাজলো রিয়েলিটির সিইও ক্রিশ রাভেশিয়া বলেন, ‘বাড়ি বিক্রেতা এবং ক্রেতা - উভয়ের পক্ষেই এটা লাভজনক। তা অবিক্রিত বাড়ি এবং ক্রেতাদের ক্ষেত্রে অধিগ্রহণের খরচ হ্রাস করতে সাহায্য করবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবাসন ক্ষেত্রের দাম কম আছে, কয়েকটি ক্ষেত্রে তা কমেছে। পার্থক্য বেশি হওয়ায় সেই সমস্যার সমাধান হবে।’