বিতর্কের মুখে পড়ে 'পঞ্জাবি ও জাঠ' মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চ🦄াইলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। দাবি করলেন, পঞ্জাবি এবং জাঠ উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য তিনি গর্ববোধ করেন।
মঙ্গলবার সকালে একাধিক টুইটবার্তায় বিতর্কিত 💮মন্তব্যের জন্য পরিচিত বিপ্লব বলেন, ‘আগরতলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান🤡ে আমি পঞ্জাবি এবং জাঠ ভাইদের বিষয়ে কিছু লোক কী ভাবেন, তা বলেছিলাম। কোনও সমাজের মানুষকে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্যে ছিল না। আমি পঞ্জাবি এবং জাঠ উভয় সম্প্রদায়ের জন্য গর্ববোধ করি।’
আগরতলা প্রেস ক্লাবে সেই অনুষ্ঠানে বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্র♛ী বলেছিলেন, ভারতের প্রতিটি জাতি নিজেদের বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। সেই বক্তৃতার ভিডিয়ো ক্লিপ রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘বাংলা বা বাঙালিদের ক্ষেত্রে বলা হয় যে মেধার বিষয়ে তাঁদের চ্যালেঞ্জ করা উচিত নয়। বাঙালিরা অত্যন্তু বুদ্ধিমান হিসেবে পরিচিত এবং এটা তাঁদের পরিচয়।’
সেখানেই অবশ্য থামেননি তিনি। আর🧸ও বলেন, ‘আমরা যখন পঞ্জাবের মানুষের কথা বলি, আমরা বলি উনি পঞ্জাবি, সর্দার। তাঁদের কম বুদ্ধি থাকতে পারে। কিন্তু তাঁরা খুব শক্তিশালী। বলপ্রয়োগ করে তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ জিততে পারবেন না। তবে ভালোবাসা ও স্নেহ দিয়ে (পারবেন)। অনেক জাঠ হরিয়ানায় থাকেন। তো তাঁদের বিষয়ে কী বলেন মানুষ? জাঠরা কম বুদ্ধিমান। কিন্তু অত্যন্ত স্বাস্থ্যবান। যদি কেউ জাঠদের চ্যালেঞ্জ ছোড়েন, তাহলে তিনি বাড়ি থেকে বন্দুক নিয়ে চলে আসবেন।’
যদিও সোমবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে ওঁদের (পঞ্জাবি এবং জাঠ) সঙ্গে অনেকদিন থেকেছি। আমার কয়েকজন খুব ভালো বন্ধুও এই সমাজের। যদি আপনার মন্তব্যে কেউ আঘাত পান, তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাইছে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে পঞ্জাবি এবং জাঠ সম্প্রদায়ের অবদানের প্রতি সর্বদা স্য💮ালুট জানাই। ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই দুই সম্প্রদায়ের ভূমিকার প্রতি আমি কোনওদিন প্রশ্ন তোলার বিষয়ে ভাবতেও পারি না।’