বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > শুধু সর্দি-কাশিতেই নয়, ক্লান্তি ও কোলেস্টেরল কমাতেও তুলসির জুরি মেলা ভার
শাস্ত্র মতে তুলসি চারা বাড়িতে রাখা অত্যন্ত শুভ। হিন্দু সংস্কৃতিতে তুলসির গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এর পাশাপাশি এতে ওষুধের গ♏ুণও রয়েছে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য তুলসী উপযোগী। এখানে জানুন, তুলসীর গুণ সম্পর্কে-&💝nbsp;
- রক্তে শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও টাইপ-২ ডায়বিটিজের ক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় তুলসির অন্তর্ভুক্তির ফলে সুফল পাওয়া যায়।
- এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরল হৃদরোগের আশঙ্কাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তুলসি খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
- তুলসির রস মাইগ্রেন ও সাইনাস থেকে স্বস্তি দিতে পারে।
- সারাদিনের ক্লান্তি নিমেষে দূর করতে পারে তুলসি। অবসাদগ্রস্ত হলে রোজ রাতে দুধের মধ্যে কয়েকটি তুলসি পাতা দিয়ে ফুটিয়ে, সেই দুধ পান করুন। এটি স্নায়ুতন্ত্রকে স্বস্তি দেয় ও অবসাদ দূর করে।
- শরীরের জন্য প্রাকৃতিক ডিটক্স হিসেবে কাজ করে তুলসি। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কার করে থাকে এই চমৎকারী চারাটি। পাকতন্ত্রের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও তুলসী উপযোগী। দুর্বল পাচন প্রক্রিয়া ওজন বৃদ্ধি ঘটায়। সে ক্ষেত্রে তুলসি ও জোয়ান দিয়ে তৈরি পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় তুলসির পাতা খেলে, সর্দি, কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- তুলসিতে উপস্থিত অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- মুখের ভিতরে ফোঁড়া বা ফুস্কুরি দূর করতে চাইলে তুলসির পাতা চেবানো উচিত। অন্য দিকে তুলসি খেলে দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাসের সমস্যাও দূর হয়।
- আমাশা নিরাময়ে তুলসি উপযোগী। এ ক্ষেত্রে গোটা জিরে ও তুলসি পাতা বেটে নিতে হবে। তার পর দিনে চার থেকে পাঁচ বার এটি অল্প অল্প করে খেলে আমাশা থেকে স্বস্তি পেতে পারেন।
- বাড়ি থেকে কীট, পতঙ্গ ও মশা দূর করতে তুলসি চারা উপকারী।
পরবর্তী খবর