পুরো শক্তি এখনও ধারণ করেনি। তাতেই ‘তাউটে’-এর দাপটে লন্ডভন্ড হল গোয়া। পশ্চিম ভারতের উপকূলবর্তী রাজ্যে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। তার ফলে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট ছ'জনের মৃত্যু হয়েছে।রবিবার বিকেলে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানান, রাজ্যে দু'জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ৫০০-রও বেশি গাছ পড়ে গিয়েছে। প্রায় ১০০ টি বড় বাড়ি এবং ১০০ টি ছোটো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একাধিক রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ধাক্কা খেয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। তাছাড়াও শনিবার রাতে কর্নাটক উপকূলে প্রবেশের পর দক্ষিণ ভারতের রাজ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সেখানেই উদ্বেগ কাটছে না। মৌসম ভবনের সাম্প্রতিক অনুযায়ী, আরও শক্তি বাড়িয়েছে ‘তাউটে’। যা ইতিমধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় গুজরাত উপকূলের কাছে পৌঁছাবে। মঙ্গলবার সকালে পোরবন্দর এবং মাহুভার মাঝখান দিয়ে সেই ঘূর্ণিঝড় গুজরাত উপকূল পার করবে। সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়। কখনও কখনও তা ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। মঙ্গলবার ঝড়ের দাপট কিছুটা কমতে পারে। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ বেগ ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার হয়ে যেতে পারে। আপাতত (সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট অনুযায়ী) গোয়ার পানজিমের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ১২০ কিলোমিটার, গুজরাতের ভেরাবলের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৬২০ কিলোমিটার এবং মুম্বইয়ের দক্ষিণে ৩৮০ কিলোমিটারে দূরে অবস্থান করছে। ইতিমধ্যে গুজরাত এবং দিউ উপকূলে ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।