সচিন সাইনি
আদালতের বাইরে থেকে উদয়পুরকাণ্ডের অভিযুক্তদের ছিনিয়🧸ে নেওয়ার চেষ্টা করল জনতা। কোনওক্রমে ওই চারজনকে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। সেখান থেকে তাদের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
শনিবার উদয়পুরকাণ্ডে চার অভিযুক্ত - রিয়াজ আটারি, ঘাউজ মহম্মদ, মহসিন এবং আসিফকে জয়পুরের এনআইএয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। বিস্তারিতভাবে জেরার জন্য চারজনকেই ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অভিযুক্তদের পুলিশের ভ্যানে তোলার সময় তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা কর🧸ে উত্তেজিত জনতা। কোনওক্রমে উত্তেজিত জনতাকে ঠেকিয়ে চারজনকে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয়। তারপর এনআইএয়ের কার্যালয়ে জেরার জন্য নিয়ে হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: Udaipur Killing: 'উদয়পুরকাণ্ডে সরাসরি BJP-র যোগ', ‘প্রমাণ’ হিসেবে খুনির ছবি💃 দেখিয়ে দাবি অভিষেকের
উদয়পুরের নৃশংস হত্যাকাণ্ড
পয়গম্বর নিয়ে মন্তব্য বিতর্কে নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করেছিলেন রাজস্থানের উদয়পুরের কানাহাইয়া লাল। তা নিয়ে 🔯গত ১৭ জুন কানাহাইয়া লালকে খুনের হুমকি দিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ করে এক অভিযুক্ত রিয়াজ আটারি। সেই ভিডিয়োটি ফেসবুক এবং উদয়পুরের বিভিন্ন হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কানাহাইয়া লাল। পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। হুমকি পাওয়ার পর ছয়দিন দোকানও খোলেননি। মঙ্গলবারই প্রথম দোকান খুলেছিলেন। সেদিনই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় তদন🦋্ত শুরু করেছে এনআইএ।
কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল?
কাপড় তৈরির বাহানায় মঙ্গলবার দুপুরে কানাহাইয়া লালের দোকানে আসে রিয়াজ এবং ঘাউস মহম্মদ। একজন ভিডিয়ো করছিল। অপরজনের পোশা🙈কের মাপ নিচ্ছিলেন কানাহাইয়া লাল। তারপরই কানাহাইয়া লালের উপর হামলা চালায় কট্টরপন্থীরা। চিৎকার করে দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কানাহাইয়া লাল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কানাহাইয়া লালের গলা কেটে দেয় কট্টরবাদীরা।