ইউকের সবচেয়ে ধনী পরিবারগুলির অন্যতম হিন্দুজা পরিবারের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে রয়েছে মানব শোষণের অভিযোগ মামলা। এই মামলা চলছে সুইৎজারল্যান্ডে। প্রকাশ ও কমল হিন্দুজা এবং তাঁদের পুত্র অজয়, তাঁর স্ত্রী𝓰 নম্রতার বিরুদ্ধে বাড়ির পরিচারকদের অকথ্য শোষণ ও মানব পাচারের ভয়াবহ অভিযো🅷গ রয়েছে। এই মানব পাচারের অভিযোগ সুইৎজারল্যান্ডে খুবই গুরুতর অভিযোগ। গোটা ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছে সুইৎজারল্যান্ডে হিন্দুজাদের লেক জেনিভার ভিলা। সেখানে কর্মরত পরিচারকদের শোষণ ঘিরেই মামলা সুইৎজারল্যান্ডের কোর্টে উঠেছে।
অভিযোগ, বাড়ির পর𒁏িচারকদের জন্য যা খরচ করা হয়, তার চেয়ে বেশি খরচ করা হয় বাড়ির পোষ্যদের যত্নে। এই অভিযোগ হিন্দুজাদের বিপক্ষের আইনজীবী তুলেছেন সুইজ কোর্টে। দাবি করা হচ্ছে, ভারত থেকে পরিচারক নিয়ে গিয়ে হিন্দুজাদের ওই চার জন সদস্যের পরিবারের বাসভবনে নিয়োগ করা হত। অভিযোগ, বাড়িতে ওই পরিরাচকরা কাজে যোগ দেওয়ার পরই প্রথমেই পরিচারকদের কাছ থেকে তাঁদের বৈধ পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখে দেওয়া হয় হিন্দুজা পরিবারের অন্দরমহলে। নিয়োগের আগেই বলা হয়, পরিচারকদের পারিশ্রমিক ভারতে তাঁদের পরিবারকে পাঠানো হবে। ফলে সে অর্থে সুইৎজারল্যান্ডে ওই পরিচারকদের হাতে কোনও সুইৎ ফ্র্যাঙ্ক (সুইৎজারল্যান্ডের টাকা) থাকে না। তাঁদের বাসভবন থেকে বিনা অনুমতিতে সব সময় বের হতে দেওয়া হয় না, বলেও অভিযোগ। হিন্দুজাদের বিরুদ্ধে একইসঙ্গে রয়েছে মানব পাচারের অভিযোগ।
(জিম ট্রেনারের সঙ্গে সম্পর্ক ধরা পড়তেই স্বামীকে খুনের প্ল্যান স্ত্রীর! প্রথম ছক বানচাল হতেই গুলি, ৩ ﷺবছর পর ধৃত ২ )
( EC on West Bengal Vote : EVM-এ কারচুপির অভিযꦡোগ নেই বাংলার কোনও দলেরই, বলছে EC, মেশিন পඣরীক্ষার খরচ কত? )
পরিবারের বিপক্ষের আইনজীব, পরিবারের চার সদস্য - প্রকাশ হিন্দুজা, তার স্ত্রী কমল, তাঁদের ছেলে অজয় এবং তাঁর স্ত্রী নম্রতার জন্য বছরের পর বছর ধরে সাজা দেওয়ার জন্য সওয়াল করছেন। যদিও হিন্দুজারা এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিপক্ষের দাবি, পরিবার আদালতের খরচের জন্য ১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক এ🦩বং কর্মীদের জন্য ক্ষতিপূরণ তহবিলের জন্য ৩.৫ মিলিয়ন ফ্রাঙ্ক জমা দিক। হিন্দুজাদের আইনজীবী অভিযোগগুলি প্রত্যাখ্যান করেছেন, বলেছেন যে পরিবারটি কর্মীদের নিয়োগ বা প্রতিদিন পরিচালনার সাথে জড়িত ছিল না। উল্লেখ্য, হিন্দুজা পরিবার, আনুমানিক ২০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ সহ ভারতের সবচেয়ে ধনীদের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে, বহুজাতিক সংগঠন হিন্দুজা গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণ করে এই হিন্দুজা পরিবার।