প্রতিটি মুহূর্তে যেন পাল্টে যাচ্ছে ধ্বংসের ছবিটা। পূর্ব ইউক্রেন জুড়ে রাত হলেই শ𒁃ুরু হচ্ছে রুশ বোমা বর্ষণ আর দিনের আღলো ফুটলেই রুশ সেনাদের বুটের শব্দে ঘুম ভাঙছে ইউক্রেনের নাগরিকদের। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপদে যেমন দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় ছিল সেখানের দূতাবাস, তেমনই প্রাণ হাতে করে ইউক্রেন ছাড়তে সমস্ত রকমের চেষ্টা করেছেন ভারতীয় পড়ুয়ারাও। এরই মাঝে ঘটে যায় এক রুদ্ধশ্বাস ঘটনা।
ইউক্রেন ছেড়ে বেরিয়ে বাইরের ভিন দেশে বেরিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করেন একদল ভারতীয় পড়ুয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইউক্রেনে তাঁদের ফ্ল্যাটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রাশিয়ার সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। সেই সময় রাশিয়ার সেনা জওয়ানরা জানান🌠, ভারতীয়দের তাঁরা আক্রমণ করবেন না, কারণ রাষ্ট্রসংঘে যেহেতু রাশিয়ার পক্ষে গিয়ে কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত, তাই ভারতীয়দের ওপর রাশিয়ার আক্রোশ নেই। তড়িঘড়ি পরিস্থিতি বুঝে ফেলেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। তাঁদেরই মধ্যে ♕একজন বাজারে গিয়ে ভারতের জাতীয় পতাকা খোঁজার চেষ্টা করেন। সেখান থেকে পর্দা কিনে এনে, ধীরে ধীরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বুকে ভারতীয় ছাত্ররা তৈরি করে ফেলেন জাতীয় পতাকা। আর সেই জাতীয় পতাকাকে সামনে রেখেই রুশ সৈন্যে ঠাসা ইউক্রেনের রাস্তা ধরে এগিয়ে চলেন তাঁরা। সেই পতাকা যে শুধু ভারতীয়দের প্রাণ রক্ষা করেছে, তা নয়। তা বাঁচিয়েছে বহু পাকিস্তানিকেও!
পড়ুয়ারা বলছেন, তাঁদের সঙ্গে সঙ্গেই বহু পাকিস্তানি ও তুরস্কের পড়ুয়ারাও ইউক্রেন ছাড়েন। আর সকলকে নিরাপদে ইউক্রেন ছাড়তে সাহায্য করেছে ভারতের তেরঙ্গা। এইভাবে তাঁরা পৌঁছে যান রোমানিয়া। আর সেখান থেকে এখন দেশে ফেরার অপেক্ষা। এমন এক রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি থেকে বেঁচে ফিরে, ভারতীয় পড়ুয়ারা বলছেন, ভারতের পতাকা আর ভারতীয় দুই তরফ মিলে প্রাণ র𒉰ক্ষা করেছে পাকিস্তানি ও তুরস্কের পড়ুয়াদের।