🅷 তিন যুবক। তাদের মধ্যে দুই জন কলেজে পড়ছেন। হাতে টাকাপয়সার অভাব। এমন সময়ে আর পাঁচজন টিউশনি বা পার্টটাইম চাকরি খোঁজেন। কিন্তু অত কম টাকায় 'পোষাত' না এই তিন জনের। তাই টাকার লোভে গাড়ি চুরির পথে নামেন তারা। একটি মারুতি ভ্যান চুরি করেও ফেলে। কিন্তু সমস্যা একটাই।
তিনজনের একজনও গাড়ি চালাতে জানে না। এমনই হাস্যকর পরিস্থিতিতে পড়ল তিন নবীন গ🉐াড়ি চোর। কানপুরের ডাবৌলি এলাকার ঘটনা নিয়ে উঠেছে হাসির রোল। কী বলবেন বুঝতে পারছেন না পুলিশকর্মীরাও।
তবে তিনজনেই কিন্তু হাল ছাড়ায় বিশ্বাসী নয়। তিনজনে মিলেই গাড়ি ধাক্কা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। রাতের অন্ধকারে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা এভাবেই গাড়ি ঠেলে ঠেলে নিয়ে যায় তিন বন্ধু। কিন্তু এরপরেই তাদের 'এনার্জি' শেষ হয়ে যায়। হাল ছেড়ে গাড়ি একটি নির্জন জায়গায় লুকিয়ে ফেলে🎶 তিনজনে। এরপর গাড়ির নম্বর প্লেট খুলে কেটে পড়ে তারা।
শিক্ষিত চোর
চোর মানেই অশিক্ষিত, বর্বর ভাবার কোনও কারণ নেই। তিন চোরকেই মঙ্গলবার গ্রেফতার করে পুলিশ। তিꩵন জনের নাম সত্যম কুমার, আমান গৌতম এবং অমিত ভার্মা। সত্যম মহারাজপুরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে B.Tech করছেন। আমান DBS কলেজের B.Com-এর ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়া। আর অমিত চাকরি করেন। অর্থাত্ তিনজনেই শিক্ষিত।
সহকারী পুলিশ কমিশনার (ACꦛP) ভেজ নারায়ণ সিং বলেন, তিন অভিযুক্তই একসঙ্গে এই ফন্দি এঁটেছিলেন। গত ৭ মে দাবাউলি এলাকা থেকে এই গাড়িটি চুরি করেন।
'তিন জন মিলে ভ্যানটি চুরি করেছিল বটে। কিন্তু তাদের কেউই গাড়ি চালাতে জানত না। তাই, তারা ভ্যানটিকে দাবাউলি থেকে কল্যাণপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঠেলে ঠেলে নিয়ে গꦡিয়েছিল। এরপর নম্বর প্লেটটি সরিয়ে গাড়ি একটি নির্জন জায়গায় লুকিয়ে রাখে। কেউই জানত না কীভাবে গাড়ি চালাতে হয়। কিন্তু চুরি করার পর তারা ভেবেছিল যে করে হোক গাড়ি বিক্রি করে দেওয়া হবে,' জানান পুলিশ আধিকারিক।
তিনি জানান, এর পর আরও ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিলেন অমিত। তিনি জানান, সত্যমের তৈরি করা একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চুরি যাওয়া গাড়ি বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিল। 'সত্যম চোরাই যানবাহন বিক্রি করার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করছিল। তার পরিকল্পনা ছিল, যদি গাড়িগুলি বাজারে বিক্রি ♛না হয়, তাহলে সে নিজের ওয়েবস𒈔াইটের মাধ্যমেই বিক্রি করবে,' বলেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক