হাপুরের সমাজকল্যাণ আধিকারিক এবং আলিগড়ের বাসিন্দা রিঙ্কু সিং রাহি। সোমবার প্রকাশিত UPSC-2021 পরীক্ষায় ৬৮৩তম স্থান অর্জন করেন রিঙ্কু। এই রিঙ্কুর আরও এক পরিচয় আছে। ২০০৮ সালে রিঙ্কু সিং মুজাফফরনগরে সমাজকল্যাণ অফিসার থাকাকালীন ৮৩ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি প্রকাশ করে দি🎃য়েছিলেন। যার কারণে তাঁকে সাতটি গুলি করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই রিঙ্কু এবার হতে চলেছেন আইএএস অফিসার।
ডরি নগরের বাসিন্দা রিঙ্কুর বাবা একটি আটার মিল চালান। রিঙ্কুর বাবা শিবদন সিং জানান, পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। তিনি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে শিশুদের পড়াতে পারেননি। যার কারণে রিঙ্কু সরকারি স্কুল থেকেই পড়াশোনা করেন। রিঙ্কু পꦰ্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন সরকারি স্কুল থেকে। পরে সরকারি ইন্টার কলেজ থেকেই ইন্টার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। ভালো নম্বর পেয়ে তিনিꩵ বৃত্তি পেয়েছিলেন এবং তারপরে তিনি টাটা ইনস্টিটিউট থেকে বিটেক করেছিলেন। এরপর ২০০৮ সালে পিসিএসে নির্বাচিত হয়েছিলেন রিঙ্কু।
রিংকু ২০০৮ সালে পিসিএস অফিসার হন। তিনি মুজাফফরনগরে পোস্টিং পেয়েছিলেন। সেখানে একজন সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা হিসেবে কᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚাজে নিযুক্ত হন রিঙ্কু। ২০০৯ সালে তিনি তাঁর বিভাগের ৮৩ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি প্রকাশ করেছিলেন। কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর বিভাগের লোকজনই তাঁর শত্রুতে পরিণত হয়েছিল। একদিন সকালে খেলার সময় তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছিল। তাঁকে পরপর সাতটি গুলি করা হয়েছিল।
ভাগ্য ভালো থাকায় প্রাণ রক্ষা পেলেও একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায় তাঁর। এরপর তিনি ভাদোহীর জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক হন। ভাদোহির পর তিনি সারা রাজ্যে ঘুরে বেড়ান। এরপর ললিতপুর ও হাপুরে নিয়োগ পান রিঙ্কু। হাপুরে সমাজকল্যাণ আধিকারিক থাকাকালীন তিনি রাজ্য সরকারের পরিচালিত একটি সিভিল কোচিং ইনস্টিটিউটের পরি𒆙চালক হিসাবে নিযুক্ত হন।
রাজ্য কোচিং ইনস্টিটিউটে ডি𒐪রেক্টর পদে থাকাকালীন তিনি প্রতিদিন ছাত্রদের পড়াতেন। তাঁর বাবা জানান, রিঙ্♔কুর ছাত্ররা তাঁকে প্রতিদিন ইউপিএসসি পরীক্ষা দিতে বলত। শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণার কারণে, রিঙ্কু ২০২১ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন। রিঙ্কু প্রথম প্রচেষ্টাযতেই প্রিলিম, তারপর মেইন এবং ইন্টারভিউ ক্লিয়ার করেন। দেশের ৬৮৩তম স্থান অর্জন করেছেন তিনি।