ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন মনোজ সোনি। এখনও এই পদে ৫ বছর মেয়াদ বাকি ছিল মনোজ সোনির। তবে আজ আচমকাই তিনি সরে দাঁড়ালেন পদ থেকে। পদত্যাগের কারণ হিসেবে 'ব্যক্তিগত সমস্যা'র কথা উল্লেখ করেছেন মনোজ সোনি। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই মনোজ সোনি নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে সেই পদত্যাগের আবেদন এখনও গ্রহণ করা হয়নি। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মনোজকে ইউপিএসসি সদস্য করেছিল সরকার। ২০২৩-এ ইউপিএসসি-র চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মনোজ। এই পদে তাঁর চাকরির মেয়াদ ৬ বছর থাকার কথা ছিল। ২০২৯ সাল পর্যন্ত এই চাকরি থাকলেও তিনি ২০২৪ সালেই পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করে আবেদন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। অবশ্য কবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ♛থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬০ ভারতীয়, ট্যাক্সি কনভয়ে এপার বাংলা🥀য় ৮০ পড়ুয়া)
আরও পড়ুন: নাম-রোল নম্বর অনুযায়ী প্রিলিমসের ফল ব♈ের করল U𝐆PSC, গোটা রেজাল্ট রইল এখানে
আরও পড়ুন: কুমিল্লার একই কলেজের ১২৭ ভারতীয় পড়ুয়াকে নিয়ে উদ্বেগ, এদেশের কতজন এখনও বাংলাদেশꦕে
এদিকে মনোজ সোনির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তাঁর এই পদত্যাগ কোনও ভাবেই পূজা খেদকর বিতর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় ট্রেনি আইএএস অফিসার পূজা খেদকারের প্রার্থীপদ বাতিলের জন্যে শোকজ নোটিশ ইস্যু করেছে ইউপিএসসি। এদিকে পূজা খেদকܫারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ইউপিএসসি। ইউপিএসসির তরফে জানানো হয়েছে, পূজার 'অপকর্ম' নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চালানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, ছবি, স্বাক্ষর, ইমেল আইডি, মোবাইল নম্বর এবং ঠিকানা পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজের পরিচয় গোপন করেছেন পূজা। সেই পরিস্থিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২১ জুলাই শিয়ালদা ডিভিশনে বহু লোকল ট্রেন বাতিলের ঘꦆোষণা? মুখ খুলল রেল
উল্লেখ্য, পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ভুয়ো প্রতিবন্ধী এবং ওবিসি শংসাপত্র জমা দিয়ে আইএএস হয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ৮০০-র ওপরে ব়্যাঙ্ক থাকা 🔯সত্ত্বেও প্রাক্তন আমলার বাবার প্রভাব খাটানোয় মহারাষ্ট্র ক্যাডারে আইএএস হন পূজা। তবে এই সব বিষয় সামনে এসেছে অনেক পরে। ২০২২ ব্যাচের মহিলা আইএএস অফিসার হিসাবে তাঁর পদের অপ🐈ব্যবহার করে তিনি সম্প্রতি শিরোনামে উঠেছিলেন। গাড়িতে সাইরেন, ভিআইপি নম্বর প্লেট এবং 'মহারাষ্ট্র সরকার' এর স্টিকার ব্যবহার করছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মমতার ক্যাবিনেটে বড়সড় রদবদল, রাজভবনে ফাইল পাঠিয়েছে নবান্ন, কারা হ🅺চ্ছেন মন্ಌত্রী
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া নথি অনুসারে, পূজা খেদকর ওবিসি এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিভাগের অধীনে ইউপিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। পাশাপাশি ইউপিএসসিতে একটি মানসিক অসুস্থতার শংসাপত্রও জমা দিয়েছিলেন। তবে প্রতিবন্ধকতা প্রমাণ করার পরীক্ষা বারবার এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। ষষ্ঠবারের মতো সেই মেডিক্যাল পরীক্ষায় অংশ নিলেও তা আধা পথেই ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। কোভিড আক্রান্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে বারবার এই পরীক্ষা এড়িয়েছিলেন। এদিকে পূজা নিজে পুনের বাসিন্দা। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমেই নিজের জেলায় পোস্টিং পাওয়ার কথা ছিল না তাঁর। তাও তিনি পুনেতে পোস্টিং পান অ্যাসিস্টেন্ট জেলাশাসক 💝হিসেবে। তিনি নাকি সেখানে নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত জেলাশাসকের জন্যে বরাদ্দ অফিস ব্যবহ𓂃ার করছিলেন।