বঙ্গভবন। দিল্লির বুকে বাংলার অতিথিশালা। সেখানেই এলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গেরসেটি। প্রথমবার তিনি পা দিলেন বঙ্গভবনে। স্বাভাবিকভাবে আতিথেয়তার কোনও ত্রুটি রাখল না বঙ্গভবন কর্তৃপক্ষ। একেবারে সাজো সাজো 💫রব বঙ্গভবন চত্বরে। বাঙালি খাবারে রসনা তৃপ্তি করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। একেবারে যেন বাঙালি মায়ের হাতের রান্না।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে 𝔉স্বাগত জানাতে এদিন পদস্থ আধিকারিকরা দ্রুত বঙ্গভবনে চলে আসেন। একেবারে বাঙালি খানায় সাজানো ছিল তাঁর পাত। কোথাও যাতে ত্রুটি না হয় সেদিকে খেয়াল ছিল সকলেরই। প্রথমেই তাঁকে আমের শরবৎ আর ফিসফ্রাই দেওয়া হয়। চেখে দেখেন তিনি। এরপর বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই একাধিক পদ দিয়ে সাজানো🎉 ছিল মার্কিন রাষ্ট্রদূতের খাবারের টেবিল। বাঙালি বাড়ির অনুষ্ঠানে যেমন হয় তেমন পদ দিয়েই সাজানো হয়েছিল এদিন তাঁর খাবারের থালা।
দেখে নেওয়া যাক ঠিক কী ছিল তাঁর মেনুতে? তাঁর দুপুরের খাবারের পাতে ছিল কাঁচকলা দিয়ে শুক্তো, থোড়ের ঘণ্ট, মোচার ঘণ্ট, কাতলা মাছের কালিয়া, ভেটকি মাছের পাতুরি। তবে এতকিছু যখন হল তখন কষা মাংসই বা বাদ থাকে কেন। সেই পদটাও ছিল এদিন।&nbꦜsp;
এদিকে বাঙালি খাবার খেয়ে অত্যন্ত তৃপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। খাবারের উচ্চ প্রশংসা করেন তিনি। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন, রবীন্দ্র সংগীতও আমার খুব ভালো লাগে। আর মাছের পাতুরি খেয়ে তো একেবারে প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। আ൲র বঙ্গভবনের সঙ্গে পরꦦতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালি সংস্কৃতি। আর বাঙালি সংস্কৃতি বলতে সবার আগে যে নামটি আসে সেটা অবশ্যই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি বলেই ফেললেন, রবীন্দ্রসংগীত আমার খুব ভালো লাগে।
তবে বলে রাখা ভালো কষা মাংসেই তাঁর খাবারের মেনু শেষ হয়ে গিয়েছে এমনটা নয়। এদিন শেষ পাতে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল আমের চাটনি। তৃপ্তিভরে সেই চাটনি চেখে দেখলেন তিনি। আর শেষপাতে অবশ্যই মিষ্টিমুখ। না হলে তো খাওয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। রসগোল্লা, সন্দেশ, কলার মালপোয়া, মিষ্টি দই তাঁকে পরিবেশন করা হয়। আর যাওয়ার সময় মার্কিন রাষ্ট♏্রদূত♋ বলেন গেলেন, তাড়াতাড়িই কলকাতায় দেখা হবে।
অনেকের মতে, আসলে বাঙালি খাবার যিনি খেয়েছেন তিনি এই খাবারের প্রেমে পড়তে বাধ্য। এর আগেও বিভিন্ন দেশের পদস্থ কর্তার💧া বাঙালি খাবারের, বাংলার মিষ্টির উচ্চ প꧃্রশংসা করেছিলেন।