ঠান্ডা লড়াইয়ের পর প্রথমবারের মতো পারমাণবিক ঝুঁকির সম্মুখীন বিশ্ব। বৃহস্পতিবার এমনটাই মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একটি অনুষ্ঠানে মার্কিন প෴্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কেনেডি এবং কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকে আমরা এই ধরনের পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনার মুখোমুখি হইনি।’ উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছিল। সেই সময় দুই দেশের মধ্য পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা ‘সবচেয়ে বেশি’ ছিল বলে মত ইতিহাসবিদদের। আর বর্তমানে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে।
জ🍸ো বাইডেন এদিন বলেন, ‘ইউক্রেন দখল করার লক্ষ্যে পুতিন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে মজা করছেন না।’ এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এই একই ভাষায় পুতিনকে নিয়ে হুঁশিয়ার করেছিলেন পশ্চিমি দেশগুলিকে। বাইডেন এই আবহে বলেন, ‘পুতিনের যখন কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র বা জৈবিক বা রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে কথা বলেন তখন তিনি রসিকতা করছেন না। কারণ তাঁর সামরিক বাহিনী এখন উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল।’
প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার কয়েকদিন পরই দেশের সমস্ত পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রকে 'অ্যালার্টে' রেখে ইউক্রেনকে হুমকি দিয়েছিল রাশিয়া। সেই সঙ্গেই ন্যাটো দেশগুলি ও পশ্চিমী বিশ্বকেও বার্তা দিয়েছিলেন পুতিন। এরই মাঝে সম্প্রতি সামরিক গতিবিধি বৃদ্ধির ঘোষণা করেন পুতিন। আবার ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তও করেন। এই সবের মাঝে পশ্চিমী দেশগুলির সঙ্গে ক্রমেই সম্পর্কের অবনতি ঘꦬটছে রাশিয়ার। আলোচনার টেবিলে না বসে ‘হুমকির ভাষায়’ একে অপরের সঙ্গে কথা বলছে। এরই মাঝে ইউক্রেনে রুশ সেনার মুখ পুড়ছে। এই আবহে যুদ্ধ জিততে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগের পক্ষে সওয়াল করেছেন পুতিনের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েক 🐟নেতা।