হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিন তাই৷ ভবিষ্যতে এমন ভয়াবহ ঘটনা এড়াতে পদ্ধতিগত পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার এক টুইটে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্যাথরিন তাই বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে কারখানার খবরটি হৃদয়বিদারক। তার ফলে অত্যন্ত উদ্বেগ বেড়েছে৷ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে তদন্তের বিষটি নিশ্চিত করতে হবে এবং আর কখনও যাতে এমন বিপর্যয় না ঘটে, সেজন্য এখনই পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন৷ দুঃখজনক এই ঘটনায় হতাহতের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি, যার মধ্যে শিশু রয়েছে বলেও তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷’ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অর্ধ শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়, আহতও হন অনেকে৷ সেজান জুস, নোসিলা, ট্যাং, কুলসন ম্যাকারনি, বোর্নভিটার মতো জনপ্রিয় সব খাদ্যপণ্য তৈরি হত সজীব গ্রুপের ওই কারখানায়৷ কারখানার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল ত্রুটিপূর্ণ, জরুরি বের হওয়ার পথে তালা লাগানো ছিল৷ এসব তথ্য জানা যায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর৷ সেখানে শিশু শ্রমিকের কাজের বিষয়টিও তখন প্রকাশ্যে আসে৷ ভয়াবহ এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে৷ মামলায় হাসেম ফুডস লিমিটেডের মালিক মো. আবুল হাসেম ও তার চার ছেলেসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷