কাজ করে না কোন ভারতীয় সিম কার্ড। বাধ্য হয়ে তাই নেপালি সিম কার্ড ব্যবহার করেন উত্তরাখণ্ডের প্রত্যন্ত গ্রামে🧸র মানুষ। সীমান্ত সংঘাত তাঁদের অভ্যাস বদলাতে ব্যর্থ।
উত্তরাখণ্ডꦑের সীমান্তঘেঁষা খুমটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দারা যোগাযোগের জন্য নেপালের টেলিকম অপারেটরদের ওপরই নির্ভরশীল। এই অঞ্চলে ভারতীয় সিমকার্ডের পরিষেবা খুবই দুর্বল।
নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন খুমটি গ্রামের বাসিন্দা পরম সিং জানিয়েছেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে নেপালি সিম কার্ড ব্যবহার করি, কারণ ভারতীয় সিমকার্ড এই পার্বত্য অঞ্চলে প্রায়ই কাজ করে না। তুলনায় নেপালের সিমকার্ডের নেটওয়ার্ক অনেক শক্তিশালী। নেপালে পরিচিতদের বলে তাঁদের নথি দেখিয়ে ওখানকার সিমকার্ড কিনি আমরা। সেই কার্ডই আমাদের যাবতীয় জর﷽ুরি যোগাযোগ রক্ষায় সাহায্য করে।’
তবে গ্রামের বিতরে নেপালি সিমকার্ড ব্যবহার করলেও বাইরে শহর-বাজারে গেলে ভারতীয় সিমকার্ড 🦄ব্যবহার করেন গ্রামবাসী। তাঁদের দꦜাবি, জনবহুল এলাকায় ভারতীয় সিমকার্ড ব্যবহারের অসুবিধা নেই।
তবে সকলেরই যে নেপালে চেনাশোনা রꦜয়েছে, এমন নয়। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় সিমকার্ডের দুর্বল নেটওয়ার্কই সম্বল। ইচ্ছা থাকলেও যেমন নেপালি সিম জোগাড় করে উঠতে পারেননি রাজু নামে ওই গ্রামের আর এক বাসিন্দা।
খুমটি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গোপাল সিং জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই দুর্বল মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য ভুগতে হয়েছে এই অঞ্চলের মানুষকে। প্রায় দুই বছর আগে সেখানে ভারতীয় সার্ভিস প্রোভাইডাꦰররা পরিষেবা দিতে শুরু করলেও নেটওয়ার্কের সমস্যা এখনও রয়ে গিয়েছে। যদিও কোভিড অতিমারীর জেরে সীমান্ত বন্ধ থাকার ൲ফলে বর্তমানে নেপাল থেকে সিমকার্ড জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। রিচার্জ করাতে তাই প্রতিবেশে দেশের পরিচিতজনের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে খুমটি অঞ্চলের বাসিন্দাদের।
ভারতীয় গ্রামে নেপালের সিমকার্ড ব্যবহারের বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এম এস ওয়াদিয়ার মতে, নেপালের সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত বিরোধের প্রেক্ষিতে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে যোগাযোগ ব্🏅যবস্থা মজবুত করার দিকে নজর দেওয়া উচিত প্রশাসনের।
তবে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অঙ্কুর চন্দ্রকান্ত꧂ের মতে, ভারতীয় নাগরিকদের নেপালের সিমকার্ড ব্যবহারের জন্য কোনও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, ‘সাধারণ কথাবার্তার জন্য ব্যবহার হয় বলেই এর থেকে নিরাপত্তাজনিত সমস্যার ঝুঁকি কম। তবে প্রশাসনের ❀উচিত মোবাইল টাওয়ারে বুস্টার বসিয়ে এই সমস্ত প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলা।’
সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল স্থানীয় ধারচুলার বিধায়ক হরিশ ঢামি এবং আলমোড়ার সাংসদ অজয় টামটা। কংগꦿ্রেস বিধায়ক ঢামি জানিয়েছেন, এলাকায় শক্তিশালী মোবাইল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে তিনি বিধায়ক তহবিলের অর্থ বরাদ্দ করতে সানন্দে রাজি। অন্য দিকে সাংসদ টামটা জানিয়েছেন, এলাকার যোগাযোগ পরিকাঠামো নিয়ে বর্তমানে সমীক্ষা চালไাচ্ছে বিএসএনএল। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেলেই টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু হবে।
তত দিন পর্যন্ত নেপালের কাছেই সাহায্যের হাত পাততে🍨 বাধ্য হবেন উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী পার্বত্য গ্রামের অধিবাসীরা।