আরবিআই নিষেধাজ্ঞার পরে নাজেহাল অবস্থা পেটিএম-এর। শেয়ার বাজারে ধস নেমেছ সংস্থার স্টকের দরে। এই আবহে কি সংস্থার কর্মীদের ওপর ছাঁটাইয়ের খাড়া নেমে আসবে? কীভাবে সংস্থা ফের ট্র্যাকে ফিরতে পারে? এমন অনেক প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে মানুষের মনে। এই পরিস্থিতিতে সংশয়ে থাকা কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন পেটিএম প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও বিজয় শেখর শর্মা। পেটিএম কর্তা বলেন, 'আপনারা কর্মীরা পেটিএম পরিবারের সদস্য। কোনও কিছু নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। আমাদের অনেক ব্যাঙ্ক সাহায্য করছে।' (আরও পড়ুন: 'নেই মামার দেশে' ২০৫০০ কোটি! বিনিয়োগকারী🌟দের মাথায় বাজ ফেলে ৪২% পড়ল পেটি꧑এম শেয়ার)
এদিকে ঠিক কী কারণে পেটিএম-এর এই অবস্থা? ভার্চুয়াল টাউনহলে বিজয় বলেন, 'ঠিক কী হয়েছে, সেই বিষয়টি আমরা নিশ্চিত ভাবে জানি না। তবে আমরা ভুলটাকে চিহ্নিত করব এবং সবকিছু আবার ঠিক করে নেওয়া হবে। আমরা আরবিআই-এর দ্বারস্থ হব এবং দেখব যে কী করা যায়।' সংস্থার সিইও-র কথায়, 'পেটিএমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করা প্রতিটি কর্মীকে অভিনন্দন জানাতে চাই আমি।' এর আগে পেটিএম-এর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরে বিজয় শেখর শর্মা বলেছিলেন, 'আমরা আগে যেমন অন্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে কাজ করতাম, সেটা করব। পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সঙ্গে কাজ করব না। এর ফরে পেমেন্টস ব্যাঙ্কের ওপর আরবিআই-এর নিষেধাজ্ঞার জেরে পেটিএম-এর ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না।' এদিকে একাধিক রিপোর্ট অꦏনুযায়ী, একই প্যানকার্ডের সঙ্গে ১,০০০-এর বেশি গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকা, লাগাতার গুরুত্বপূর্ণ নিয়মের লঙ্ঘন, ভুয়ো রিপোর্ট দাখিল, লাইসেন্সিং শর্তের চূড়ান্ত লঙ্ঘনের মতো কারণে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর শাস্তির খাঁড়া𝐆 নেমে এসেছে। এদিকে তাদের বিরুদ্ধে ইডি তদন্তের দাবি উড়িয়ে দিয়ে পেটিএম দাবি করেছে, অর্থ পাচারের মতো কার্যকলাপের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত না সংস্থা বা কোম্পানির কোনও আধিকারিক।
উল্লেখ্য, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের ওপর যে খাড়া নামতে চলেছে তার আভাস মিলছিল সেই ২০২২ সাল থেকেই। সেই বছর মার্চ মাসেই আরবিআই-এর তরফে পেটিএম-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে তারা আর কোনও গ্রাহককে তাদের পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগ করতে পারবে না। ৩১ জানুয়ারি পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ককে আরও কড়া শাস্তি দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আরবিআই-এর তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, ২৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, ওয়ালেট এবং ফাস্ট্যাগ দিয়ে অনলাইনে কোনও টাকা দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র যে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট বা ওয়ালেটে টাকা থাকবে,♔ তাঁরাই ২৯ ফেব্রুয়ারির পরও অনলাইনে টাকা দিতে পারবেন। যতদিন টাকা থাকবে, ততদিন তাঁরা সেই সুযোগ পাবেন।