মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়, ইউক্রেন যুদ্ধ সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ঘটনার মাঝে এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদি🌠মির পুতিনের কণ্ঠে ভারতের প্রশংসা। রাশিয়ার সোচিতে ‘ভালদাই ডিসকাশন ক্লাব’ এ সদ্য ভাষণ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেখানে প্লেনারি সেশনের মঞ্চ থেকে পুতিন বলেন, বিশ্বের সুপার পাওয়ারদের তালিকায় ভারতেরও থাকা উচিত।
ভারত ও রাশিয়া মধ্যে আরও আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চলেছে। পুতিন ওই সভায় বলেন, 'সুপারপাওয়ারদের (বিশ্বে) তালিকায় ভারতকেও নিঃসন্দেহে সংযুক্ত করা উচিত। প্রায় দেড়শো কোটি জনতা নিয়ে বিশ্বে এই দেশ সব অর্থনীতির মাঝে দ্রুততর এগোচ্ছে।' ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতিরও প্রশংসা করেন পুতিন। তিনি দাবি করেন, ভারতের দ্রুততর গতিতে উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছ💞ে। ভারতকে 'মহান দেশ' আখ্যা দিয়ে পুতিন বলছেন,' আমরা ভারতের সঙ্গে সব দিক দিয়েই সম্পর্ক গড়ে তুলছি। ভারত একটি মহান দেশ, এখন জনসংখ্যার দিক থেকে বৃহত্তম।' কূটনৈতিক চাল উস্কে পুতিন বলেন,' কোথায় এবং কোন গতিতে আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠবে সে সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আজকের বাস্তবতা অবস্থার ওপর নির্ভর করছে। আমাদের সহযোগিতার পরিমাণ প্রতি বছর বহুগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।' এখানেই শেষ নয়। ভারতের প্রতিরক্ষায় রুশ হাতিয়ার ব্যবহৃত হওয়া নিয়েও পুতিন ব🐎ক্তব্য রাখেন। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন,'ভারতীয় সেনায় কত ধরণের রাশিয়ান সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে তা দেখুন। এই সম্পর্কের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বিশ্বাস আছে। আমরা শুধু ভারতের কাছে আমাদের অস্ত্র বিক্রি করি না; আমরা তাদের যৌথভাবে ডিজাইন করি।'
( Jagadhatri Puja 2024 Anj🐻ali time: জগদ্ধাত্রী পূজায় কৃষ্ণনগরে বুড়িমার পুজোর অষ্টমী-নবমীর অঞ্জলি কখন? রইল বলিদানের সময়)
ভারতের প্রতিরক্ষায় রুশ অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুতিন উত্থাপন করেন, ব্রাহ্মোস ম꧟িসাইলের কথা। পুতিন সেই প্রসঙ্গে বলেন,' প্রকৃতপক্ষে, আমরা এটি (মিসাইল) তিন জায়গাতেই ব্যবহারের উপযোগী করে দিয়েছি - আকাশে, সমুদ্রে এবং স্থলে। ভারতের নিরাপত্তার স্বার্থে পরিচালিত এই প্রকল্পগুলো সক্রিয় রয়েছে।' পুতিনের সাফ বার্তা, ‘এটা সকলেরই জানা যে এই ইস্যুতে কারোর কোনও সমস্যা নেই। তবে এই প্রকল্পগুলি পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতাকে উচ্চস্তরে নিয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে চিনেরও সম্পর্ক ভালো। সদ্য ব্রিকস সামিটের ফাঁকে রাশিয়ায়, চিন ও ভারতের রাষ্ট্রনেতারা বৈঠকে বসেন। ভারত-চিন সম্পর্কের শীতলতার মাঝে এই বৈঠক দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়। সেই সমীকরণ থেকে পুতিন কার্যত মেনে নিয়েছেন যে ভারত ও চিনের সীমান্ত নিয়ে সংঘাত রয়েছে। তিনি বলেন, বুদ্ধিমান এবং যোগ্য ব্যক্তি🌼রা যারা তাদের জাতির ভবিষ্যত মাথায় র♚াখেন, তাঁরা রাস্তা খুঁজছেন বোঝাপড়ার, আশা করি তা পারবেন। উল্লেখ্য নাম না করে ব্রিকসে নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিংয়ের বৈঠককেই উল্লেখ করেন পুতিন।