রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েই প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে 'ধন্যবাদ' জানালেন ডঃ শান্তনু সেন। পাশাপাশি এদিন বিজেপিকে হুঁশিয়ার করে দাবি করেন, তৃণমূল এবং ম𒉰মতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। টুইটে শান্তনু লেখেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে ধন্যবাদ আমাকে আবার অসংসদীয় ভাবে সংসদ থেকে সাসপেন্ড করার জন্য। কিন্তু এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকবেন যে মমতা বন্দ্যোপাধঅযায়💫 এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কণ্ঠরোধ করা সম্ভব নয়। ভারতীয় জাসুস পার্টির তরফে হয় হরদীপ সিং পুরীকে তাঁর গুন্ডামির জন্যে পুরষ্কৃত করা হবে।'
পেগাসাস নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান ঠিক কী? বৃহস্পতিবার তা জানতে চেয়েছিলেন বিরোধীরা। চাপের মুখে রাজ্য💛সভায় এ বিষয়ে বিবৃতি পাঠ করতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁর হাত থেকে বিবৃতি লেখা কাগজ ছিনিয়ে নেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তারপর সেই কাগজ ছিঁড়ে হাওয়ায় উড়িয়ে দেন তিনি। এর প্রেক্ষিতেই এদিন সাসপেন্ড করা হয় ꦜশান্তনু সেনকে।
এদিকে শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করার পরই এই নিয়ে সরব হয় তৃণমূল। এর আগে বৃহস্পতিবারই এই ঘটনাಌ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেনꦯ তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। সেখানে পেগাসাস ইস্যুতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন তৃণমূল নেতারা। তাঁরা বলেন, পেগাসাস একটা বিদেশি স্পাই সফটওয়্যার। যদি সত্যিই ভারতীয় নাগরিকদের নজরদারিতে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়, তবে তার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা সত্যি হলে তা দেশের নিরাপত্তা, দেশবাসীর নিরাপত্তা, ব্যক্তিস্বাধীনতা-সহ নানা ক্ষেত্রেই বিপজ্জনক। এটি একটি জাতীয় ইস্যু। যার জবাব দেশের মানুষের কাছে দিতেই হবে।
তৃণমূলের দাবি, গোটা ঘটনায় অবিলম্বে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুন মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়ে এই বিষয়ে নিজেদের বিবৃতি দিন। এখানে অন্য কারও বিবৃতিই যথেষ্ট নয়। অবিলম্বে সংসদের অধিবেশনে এসে এই বিষয়ে নিজেদের বক෴্তব্য পেশ করুন তাঁরা। তা না হলে আগামী ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পেগাসাস নিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল।