গত ২৬শে জুলাই। জমি দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল অসম- মিজোরাম সীমান্ত। অসমের ৬জন পুলিশকর্মীর সেদিন মৃত্যু হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়। মূলত প্রতিবেশী দুই রাজ্যের মধ্যে দ্বন্দ্ব সেদিন চরম আকার নেয়। এরপর দুপক্ষই নানা আলোচনা করেছে। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুই রাজ্যের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব মেটাতে হস্তক্ষেপ করেন। তবে সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দারাও সীমান্ত এলাকায় মিজোরামের বিরুদ্ধে কার্যত অঘোষিত অর্থনৈতিক অবরোধ গড়ে তোলেন। মূলত মিজোরামকে বেকায়দায় ফেলার জন্য অসমের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা এই পদক্ষেপ নেন। মিজোরাম থেকে পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। তবে সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে সেই অবরোধও তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও অসম সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ ফের মিজোরামের কিছু সাধ🐻ারণ মানুষ অসমের জমি দখল করতে চাইছে।
এদিকে অসমের লায়লাপুরের বাসিন্দা রাজীব আহমেদ লস্কর গত ২৬শে জুলাইয়ের পর এই অর্থনৈতিক অবরোধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বলেন,' শান্তি আলোচনার পরেও মি♌জোরামের কিছু সাধারণ মানুষ অসমের জমি দখল করে নিচ্ছে। এই তো গত বৃহস্পতিবার মিজোরাম রাজ্য সীমান্তের কাছেই অসমের একটি রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। মিজোরামের কিছু লোক এসে নির্মাণ কর্মীদের উপর চড়াও হয়েছিল। শেওরাতাল পঞ্চায়েতের কাছඣেও অপর একটি রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। সেটাও মিজোরামের লোকজন বন্ধ করে দিল। তবে আমরা অনেক লড়েছি। প্রতিবার অবরোধ তোলার জন্য অসম সরকার চেষ্টা করে। কিন্তু জমি বাঁচানোর ব্যাপারে উদাসীন। এবার সরকার নিজের জমি নিজেই বাঁচাক। 'এদিকে অসমের কাছারের বন বিভাগের দাবি, অন্তত ১ হাজার হেক্টর জমি মিজোরাম দখল করে নিয়েছে। আর যেন না পারে সেটা চেষ্টা করছি।