চলতি বছরে দক্ষিণ ভারতের উপর দিয়ে বয়ে চলা উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বাতাসের পরিমাণ কম থাকলেও আগামী ৩ মাসে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, পশ্চিম উপকূল ও কোঙ্কনের বেশ কিছু অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস করল আবহাওয়া দফতর। সোমবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট আউটলুক ফোরাম-এর তরফে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দক্ষিণতম প্রান্ত ও সেই সঙ্গে শ্রী লঙ্কা ও মলদ্বীপে অক্টোবর ও ডিসেম্বর মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও, অন্যান্য বছর এই মরশুমে প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রেই ভারী বৃষ্টি হয়ে থাকে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিন মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম পরিমাণ বৃষ্টি হবে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত পার্বত্য অঞ্চল এবং দক্ষিণ এশিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও উত্তরাংশেও। ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন, ব্রিটেনের আবহাওয়া দফতর এবং ভারতীয় আবহাওয়া দফতর-সহ একাধিক সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন অঞ্চলের উত্তর ও মধ্যভাগের অধিকাংশ এবং দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।পুনেতে আইএমডি-র শীর্ষস্থানীয় আবহাওয়া বিজ্ঞানী ডি এস পাই জানিয়েছেন, ‘বর্ষা বিদায় নেওয়ার পরে লা নিনার অবস্থান তার বর্ষাকালীন স্থিতির একেবারে বিপরীত থাকে। তার প্রভাবে বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু বর্ষা বিদায় নিলে যদি বঙ্গোপসাগরের উপরে কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তা হলে লা নিনার জেরে তার প্রভাব বিপরীতধর্মী, এমনকি ভয়াবহও হতে পারে। তাই এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।’আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে রাজস্থান, পঞ্জাব ও হরিয়ানার কিছু অংশ থেকে বিদায় নেবে দক্ষিণ-পশ্চিমী মরশুমি বাতাস। এর জেরে উত্তর-পশ্চিম ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে শুকনো আবহাওয়া দেখাদেবে। আগামী সপ্তাহ থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারতে তামপমাত্রাও কমতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামিকাল, ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় নিতে চলেছে বর্ষা। এ বছর স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে ৯% বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।