ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকদিন ধরেই দিল্লির যন্তর মন্তরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকদের মতো খোলোয়াড়রা। এরই মাঝে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে দু'টি মামলা। এর প্রেক্ষিতে অভিযোগকারী মহিলা কুস্তিগীররা দিল্লি পুলিশের কাছে তাদের বয়ান রেকর্ড করেছেন। জানা গিয়েছে, বয়ানে দুই মহিলা কুস্তিগীর অভিযোগ করেছেন, টুর্নামেন্ট𒐪, ওয়ার্ম আপ এমনকি ডাব্লুএফআই অফিসে অনুপযুক্তভাবে তাঁদের শরীর স্পর্শ করেছিলেন ব্রিজ ভূষণ। ২১ এপ্রিল নয়াদিল্লির কনট প্লেস থানায় দায়ের করা দুটি পৃথক এফআইআর-এর প্রেক্ষিতে কমপক্ষে আটটি পৃথক ঘটনা উঠে এসেছে কুস্তিগীরদের বয়ানে।
ইংরেজি সংবাদপত্র 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই অভিযোগকারী কুস্তিগীর পুলিশকে🐎 জানিয়েছেন, তাঁদের শ্বাস-প্রশ্বাস বা দম ধারণের পরীক্ষা করার অজুহাতে অনুপযুক্তভাবে স্তন স্পর্শ করতেন ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং। জানা গিয়েছে, একজন মহিলা কুস্তিগীর ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অন্তত পাঁচটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন নিজের বয়ানে। মহিলা কুস্তিগীর দাবি করেন যে ২০১৬ সালে একটি টুর্নামেন্ট চলাকালীন একটি রেস্তোরাঁয় ব্রিজ ভূষণ সিং তাঁর স্তন এবং পেট স্পর্শ করেছিলেন। সেই একই কুস্তিগীর আরও অভিযো꧃গ করেন, ২০১৯ সালেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে তাঁর সঙ্গে। এসময়ও তাঁর স্তন ও পেট স্পর্শ করেন ব্রিজ ভূষণ।
অপর এক মহিলা কুস্তিগীর অভিযোগ করেন, দিল্লির ২১ নং, অশোকা রোডে তাঁর অফিসিয়াল বাংলোর ভিতরে অবস্থিত কুস্তি ফেডারেশনের অফিসে দু'দিন ধরে তাঁকে অনুপযুক্তღভাবে স্পর্শ করে গিয়েছিলেন ব্রিজ ভূষণ সিং। মহিলা কুস্তিগীর অভিযোগ করেন যে তাঁর সম্মতি ছাড়াই তাঁর উরু এবং কাঁধ স্পর্শ করা হয়েছিল। এরপর তাঁর স্তন স্পর্শ করা হয় এবং তাঁর পেটেও হাত দেন ব্রিজ ভূষণ। মহিলা কুস্তিগীর অভিযোগ করেছেন যে তাঁকে বলা হয়েছিল যে এটি তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস ও দম ধারণের পরীক্ষা করত✨ে করা হয়েছে।
এদিকে ব্রিজ ভূಌষণের দাবি, তিনি নির্দোষ এবং তিনি নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন না। সুপ্রিম নির্দেশে এফআইআর দায়েরের পর বিজেপি সাংসদ বলেছিলেন, 'আমি নির্দোষ এবং তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। আমি তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। বিচার বিভাগের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে এবং আমি সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে সম্মান করি।' সাংসদ আরও বলেন, 'আমি বিচারব্যবস্থার সিদ্ধান্তে খুশি। দিল্লি পুলিশ এই মামলার তদন্ত করবে এꦛবং আমি সবরকম ভাবে তাঁদের হযোগিতা করতে প্রস্তুত। এই দেশে বিচারব্যবস্থার থেকে কেউই বড় নয়। এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সরকারও জানায় যে তারা এফআইআর করবে। আমি তো সুপ্রিম কোর্টের থেকে বড় নই। আমি এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি।'