ফোন, গাড়ি বা অন্যান্য জিনিসে অনেক সময়ে নো-কস্ট 🧜ইএমআই থাকে। অর্থাত্ যে জিনিস কিনছেন, তার দামটাই বেশ🐈 কয়েক মাসজুড়ে দিতে হয়। তার সঙ্গে অতিরিক্ত কোনও সুদ যোগ হয় না। বলাই বাহুল্য, বেশ আকর্ষণীয়। কিন্তু তাতে যিনি বিনা সুদে কার্যত ধারে আপনাকে জিনিস দিচ্ছেন, তাঁর কী লাভ হয়? লোকসান করে নিশ্চয় তিনি আপনাকে নো-কস্ট ইএমআইয়ের সুবিধা দিচ্ছেন না! জেনে নিন এর পিছনে আসল রহস্য।
ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম MyLoanCare। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা-সিইও গৌরব গুপ্ত বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন। তিনি জানালেন, 'বেশিরভাগ অফলাইন এবং অনলাইন খুচরো বিক্রেতা নির্দিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, গ্যাজেট ইত্যাদি কেনার জন্য ক্রেতাদের আকর্ষণীয় ঋণ প্রদান করে। 'জিরো কসও্ট লোন' হিসেবে তার প্রচার করা হয়। এই ধরনের ঋণের কিন্তু প্রকৃত সুদের হার সাধারণত ১৬ থেকে ২৪ শতাংশ হয়। অর্থাত্ খুবই বেশি।'
ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় এক মাসের মধ্যে টাকা শোধ করে দি꧙লে কোনও সুদ লাগে না। এই ধরনের ক্ষেত🐲্রে গ্রাহকের থেকে বাত্সরিক পরিষেবা কর নেওয়া হয়। সেটা থেকেই বেশ খানিকটা মুনাফা হয় ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী সংস্থার।
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, নো-কস্ট ইএমআই-এর ক্ষেত্রে আগে থেকেই নির্দিষ্ট সময়ে সুদের হার গুণে তা মূল দামের সঙ্গে ধার্য করা থাকে। অর্থাত্ ধরুন কোনও ফোনের দাম ১৫ হাজারไ টাকা। সেটিতে ১০% ডিসকাউন্ট দিলে দাম হত ১৩,৫০০ টাকা। অর্থাত্ চাইলে ১৩,৫০০ টাকায় ফোনটা বিক্রি করলেও সংস্থার মুনাফা হত। কিন্তু নো-কস্ট ইএমআইয়ের মাধ্যমে ক্রেতা পেতে দাম আরও ১,৫০০ টাকা বেশি করে ধরඣা হয়। ফলে ফোনটার দামও বেড়ে যায়। তাছাড়া এটি যখন নির্দিষ্ট কিছু মাসে ভাগ করা হচ্ছে, সেই সময়ে ক্রেতাকে সুদের টাকাও দিতে হচ্ছে। কিন্তু তা মূল দামের সঙ্গেই ধরা ছিল বলে এটি নো-কস্ট হিসেবে মার্কেটিং করা হয়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২০১৩ সালে তার এক সার্কুলারে জানিয়েছে, শূন্য শতাংশ সুদ♚ের কোনও অস্ত꧋িত্ব নেই। কারণ এই স্কিমগুলো নামেই জিরো-ইন্টারেস্ট। আসলে দাম বাড়িয়ে বা প্রসেসিং ফি-র মাধ্যমেই মুনাফা করা হয়।
তাই এবার থেকে জিরো-ইন্টারেস্ট ক্রেডিট কার্ড বা নো-কস্ট ইএমআই-এর বিজ্ঞাপন দেখলে তার পরিষেবা কর বা দাম বিচার করুন। এর থেকেই সুদের🍃 পরিমাণের ধারণা পাবেন। তারপরেই পছন্দের জিনিসটি ক্রয় করুন।