করোনার ভাইরাস কোথা থেকে এলো, তা জানতে আবার বিজ্ঞানীদের দল গঠন করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ꧂া। চিনকে যাবতীয় তথ্য দেয়ার 🅠অনুরোধ।
করোনা ভাইরাস কীভাবে এলো তা নিয়ে এতদিন ধরে কম আলোচনা হয়নি। নানা ধরনের তত্ত্ব বাজারে এসেছে। কেউ বলেছেন চিনের উহানে কাঁচা মাংসের বাজার থেকে, কেউ বলেছেন বাদুর থেকে, আবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডে🎉ন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মতো অনেকে অভিযোগ করেছেন, চিনের গবেষণাগার থেকে এই ভাইরাসেরউৎপত্তি। চিন এই দাবি বারবার অস্বীকার করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে বিজ্ঞানীদের একটি দল🗹 গঠন করেছিল। তারা চিনে গেছিল। কিন্তু তারাও নিশ্চিতভাবে বলতে পারেনি ভাইরাসের উৎপত্তি কীভাবে হলো। তারা চিনের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাজ করে এই সিদ্ধান্তে এসেছিলেন যে, সম্ভবত বাদুর থেকেই এই ভাইরাস এসেছে। তবে এনিয়ে আরো গবেষণা দরকার। অ্যামেরিকাও বিশেষজ্ঞদের দ꧋ল গঠন করেছিল একই লক্ষ্য নিয়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আবার ২৬ জন বিজ্ঞানীর একটি দল গঠন করেছে, যারা করোনা ভাইরাস কীভাবে, কোথা থেকে এলো, তা জানার চেষ্টা করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্ꦯয সংস্থার মতে, করোনার উৎপত্তি জানার এটাই শেষ সুযোগ। তারা চিনকে প্রথম থেকে সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার জন্য আবেদন জানিয়েছে।
শেষ সুযোগ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর মারিয়া কারখভ বলেছেন, আরো ডজন তিনেক সমীক্ষা চাল𒁃াতে হতে পারে। উহানে যারা প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করাটাও খুব জরুরি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জার্নালে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানে করোনা꧙র প্রথম ঘটনা নজরে আসে। মারিয়া বলেছেন, ''সেই সময় রক্ত পরীক্ষার স্যাম্পেল, প্রথম দিকের রোগীদের সম্পর্কে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখাটাও জরুরি। তার মতে, এটাই আমাদের করোনার উৎস খোঁজার ক্ষেত্রে সব চেয়ে ভালো সুযোগ এবহং সম্ভবত শেষ সুযোগ।''
চিনের প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘে চিনের দূত চেন শু বলেছেন, এর আগে দুই বার চিনে দল পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিনের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে একটি যৌথ রিপোর্টও দেয়া হয়েছে। আর কোনো দলের চিনে যাওয়ার দরকার নেই। বরং অন্য দেশে দল পাঠাক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার মতে, কোনো গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যেন দল গঠন করা না হয়। বিজ্ঞানের স্বার্থে, বিজ্ঞানের জন্য যেন দল গঠন করা হ💯য়।