বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ওয়েবসাইটে ভারতের মানচিত্রের ভুল চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছে ভারত। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে একটি ডিসক্লেইমার জারি করতে অনুরোধ করে ভারত। যাতে বলা হয়, ছবিটি কোনও আইনি অবস্থার উপর ডাব্লুএইচও-র ব্যক্তিগত মতামতের প্রকাশ নয়। সেই মতো ডিসক্লেইমার দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উল্লেখ্য, বাজেট অধিবেশনে এক লিখিত জবাবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এই নিয়ে আগেই কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। তবে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সরকারি ওয়েবসাইটে ভারতের ভুল মানচিত্র দেখা যাচ্ছে। সেখানে জম্মু ও কাশ্মীরের রঙ ভারতের রঙের থেকে আলাদা। পাশাপাশি অ𝄹রুণাচল প্রদেশকে রেখা দিয়ে আলাদা করে দেখানো হয়েছে। যদিও ভারতের অন্য কোনও রাজ্যকে আলাদা কের দেখানো হয়নি।
রাজ্যসভায় অসামরিক বিমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জ্যোতিাদিত্য সিন্ধিয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে ভুল মানচিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর জবাবে বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে থাকা ভুল মানচিত্রের বিষয়টি নিয়ে উচ্চস্তরে কথা হয়েছে কেন্দ্রের। জেনেভায় ভারতে স্থায়ী মিশনে এ বিষয়ে একটি লিখিত জবাব দিয়ে জানিয়েছে, তারা মানচিত্রে ডিসক্লেইমার দিয়ে♑ জানিয়েছে যে মানচিত্রে ডটেড এবং ড্যাশ লাইনগুলি আনুমানিক সীমানা রেখা দেখ☂ানো হচ্ছে যার জন্য এখনও সম্পূর্ণ চুক্তি নাও হয়ে থাকতে পারে৷
এর আগে তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ শান্তনু সেনের নজরে পড়ে বিভ্রান্তিকর ম্যাপের ছবি। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিতে তিনি লেখেন, যখন আমি হুয়ের কোভিড সাইট খুলি সেখানের বিশ🔯্ব ম্যাপের ছবি রয়েছে। সেখানে ভারতের অংশে দেখা যায় জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য দুটি আলাদা রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। নীল অংশে ক্লিক করলে দেশের কোভিড ডেটা দেখাচ্ছে। এদিকে দুটি অন্য় রঙে থাকা জম্মু ও কাশ্মীরের অংশে ক্লিক করতেই দেখা যাচ্ছে বড় অংশটিতে পাকিস্তানের ডেটা দেখাচ্ছে। কাশ্মীরের ছোট অংশটিতে চিনের কো🦄ভিড তথ্য দেখাচ্ছে। পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশকেও আলাদাভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই চিঠির পরই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল এই মানচিত্র নিয়ে।