কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগেই উত্তপ্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। একাধিক আন্দোল🌠নকারীর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। কিন্তু এবার প্রশ্ন উঠছে কেন গুলি চালানো হয়েছিল আন্দোলন দমন করতে?
এবার এনিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সভাকক্ষে এনিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। তারপরই তিনি গুলি চালানোর কারণ উল্লেখ করেন। তিনি জানিয়েছেন, মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য বাধ্য় হয়েই গুলি চালাতে হয়েছিল পুলিশকে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ঢাকা সহ চার জেলায় সকাল♉ ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কার্ফু কিছুটা শিথিল থাকবে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, জীবন ও সম্পদ রক্ষায় বাধ্য হয়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালিয়েছিল। আন্দোলন চলার সময় বিভিন্ন এলাকায় সরকারি সম্পত্তিতে আগুন লাগ🙈ানো ছাড়াও নানা হিংসাত্মক কার্যকলাপ হয়েছে। পরিকল্পনা করেই সব কিছু করা হয়েছিল। আমাদের পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী খুবই ধৈর্য্যের সঙ্গে এই ধ্বংসযজ্ঞ মোকাবিলা করেছে। তারপরই সেনাকে ডাকা হয়েছিল।
কিন্তু বার বারই প্রশ্ন গুলি করা হল কেন? বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, যেখানে হিংসার মোকাবিলা করা যায়নি সেখানেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জীবন ও সম্পদ রক্ষায় গুল🃏ি করতে বাধ্য় হয়েছে। সব হিসেব পুলিশের আধিকারিকরা রাখেন। কোনও একটি গুল💖ি বা কোনও একটি মৃত্যু যদি অনাকাঙ্খিত হয় তাহলে একটা তদন্ত হবে। এক্ষেত্রেও সেটা হবে। এমনকী এনিয়ে বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে🍃 ইতিমধ্য়েই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে অশান্তির সঙ্গে যুক্ত নয় এমন ব্যক্তিদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে? এভাবে নিরাপরাধ লোকজনকে গ্রেফতার করাটা ঠিক নয়। সেই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, নিরাপরাধ কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। যাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে শুধু মাত্র তাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমনকী অপরাধ করেননি এমন কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের ক🎶োটা বিরোধী আন্দোলনে ♛একাধিক ছবি সামনে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা একেবারে রাজপথে নেমে আসেন। এরপর শুরু হয় মিছিল। বাংলাদেশ সরকার স্কুল কলেজও বন্ধ করে দিয়েছিল। তারপরেও অশান্তি থামানো যায়নি।