ডুবো আগ্নেয়গিরি ব🐟িস্ফোরণের জেরে কয়েক সপ্তাহ গোটা পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ টোংগার। দ্বীপরাষ্ট্রটির সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বীপে ইন্টারনেট সংযোগকারী একমাত্র ডুবো ফাইবার অপটিক কেবলটি ছিঁড়ে যাওয়ায় আপাতত উপগ্রহের মাধ্যমে চালিত ইন্টারনেটই ভরসা তাঁদের। ছেঁড়া তার জুড়তে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। ওদিকে আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে গোটা দ্বীপ ঢাকা পড়ে যাওয়ায় ঠিক মতো 🐼কাজ করছে না উপগ্রহের মাধ্যমে চালিত ইন্টারনেটও।
গত শনিবার বিকেলে টোংগার ডুবো আগ্নেয়গিরি হোংগা টোংগা হোংগা হুপ্পাইতে তীব্র বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের ফলে তৈরি শক ওয়েভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। সুনামি আছড়ে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক প্রশান্ত ম💧হাসাগরীয় সৈকতে। তার পর থেকেই টোংগার সঙ্গে গোটা বিশ্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সেদেশের 🍰প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণে টোংগার সঙ্গে বিশ্বের ইন্টারনেট সংযোগকারী একমাত্র ডুবো তারটি ছিঁড়ে গিয়েছে। যার ফলে দেশেꩲর প্রায় সর্বত্রই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। সেদেশের সরকার ও কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উপগ্রহ চালিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে। শুধুমাত্র তাদের পরিষেবাই চালু রয়েছে। তবে আগ্নেয়গিরির ছাই পড়ে উপগ্রহ চালিত ইন্টারনেটের অ্যান্টেনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই সেই ইন্টারনেটেরও গতি খুব কম।
তার সারানোর দায়িত্বে থাকা মার্কিন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যে বিশেষভাবে তৈরি জাহাজ দিয়ে তার মেরামত করা হবে সেটিকে মেরামতির জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছিল। মেরামতি শেষে সেটি আপাতত পাপুয়া নিউগিনিতে রয়েছে। জাহাজটি তারের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে পৌঁ༒ছে কয়েকদিন লাগবে। তার পর সরকারি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র পেলে কাজ শুরু হবে।
ꦍবলে রাখি, ২০১৯ সালে একটি জাহাজের নোঙরে ছিঁড়ে গিয়েছিল টোংগার সঙ্গে ফিজি🐟র সংযোগকারী একমাত্র ডুবো তারটি। তার জেরে প্রায় সপ্তাহখানের ইন্টারনেট অন্ধকারে বাঁচতে হয়েছিল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটিকে।