আকাশ থেকে আছড়ে পড়ছে আগুনের গোলা, ঝলসে যাচ্ছে জনপদগুলি, কিংবা জৈব রাসায়নিক বোমার তীব্রতায় মারা যাচ্ছেন শত শত মানুষ; এমন বর্ণনা আমরা উপন্যাসে, কমিকসে পড়েছি কিংবা চলচ্চিত্রে দেখেছি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীভৎস স্মৃতি আজ অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে। কিন্তু, আজও টের পাওয়া যায় সেই যুদ্ধের ব্যাপ্তি, তীব্রতা। সেই ভয়াবহ ইতিহাসকেই আরও একবার মনে করাল নাউরু দ্বীপরাষ্ট্রের চাঞ্চল্যকর এক 🐓ঘটনায়।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্টꦍ্র নাউরুতে মাটি খুঁড়তেই মিলল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমসাময়িক প্রকাণ্ড এক বিস্ফোরক। বৃহস্পতিবারই অবশ্য সেটিকে নিষ্ক্রিয় করেছে পুলিশ। দু'সপ্তাহ আগে প্রায় ২২৭ কিলোগ্রাম ওজনের বিস্ফোরকটির হদিশ পান অস্ট্রেলিয়ান সামরিক বিশেষজ্ঞরা। বিস্ফোরকটি তাজা রয়েছে কিনা জানতে তড়িঘড়ি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলার সময়ে অঞ্চলের সমস্ত স্কুল বন্ধ ছিল। নাউরুতে নির্দিষ্ট অঞ্চলটির বারো হাজার বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করা হয় স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। পরীক্ষা করে দেখা যায় সক্রিয় আছে বিস্ফোরকটি। দ্রুত সেটি নিষ্ক্রিয় করার কাজে হাত দেন পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকালেই নিষ্ক্রিয় করা হয় বিস্ফোরকটি। বিস্ফোরকটিকে নিষ্ক্রিয় করতে নাউরুতে পৌঁছয় অস্ট্রেলিয়ার বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞদের একটি টিম। বিস্ফোরকটি বালি চাপা দিয়ে অত্যন্👍ত সতর্কতার সাথে নিষ্ক্রিয় করে বিশেষজ্ঞ বাহিনী।
বিস্ফোরকটি যে স্থানে পাওয়া গিয়েছে তার ২.🐬১ কিলোমিটারের মধ্যে সব বাড়ি খালি করে দেওয়া হয়েছে এই দিন সকাল থেকেই। পুলিশের তরফে বিবৃতি জারি করে নিরাপদ স্থানে সরানো সম্ভব নয় বাসিন্দাদের। দ্বীপরাষ্ট্রটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশগুলির মধ্যে একটি। এটি সিডনি থেকে প্রায় ৪,০০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। এটি ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সময়পর্বে জাপানি সৈন্যবাহিনীর দখলে ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার লেফটেন্যান্ট মিস্টার বেল বলেন, ‘বিস্ফোরকটি অত্যন্ত বিপজ্জনক ছিল। নাউরু’র জনগণ যাতে কোনওরকম বিপদের মুখোমুখি ཧনা হয় সেই বিষয়টিকে নিশ্চিত করতেই আমরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করেছি।’ বেল আরও বলেন, ‘জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইনগুলি রয়েছে আশপাশের অঞ্চলে। সেগুলোরও যাতে কোনওভাবে ক্ষতি না হয়, সেদিকে আমরা নজর রেখেছিলাম।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটেনের গ্রেট ইয়ারমাউ🔴থে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি বোমা ফেটে আকস্মিক বিস্ফোরণ হয়। নদীর তলা থᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚেকে আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটতে দেখা যায়। ধুলোয় ছেয়ে যায় চারপাশ। এই বিস্ফোরণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ভাইরালও হয় দ্রুত। কয়েক মাসের ব্যবধানেই দ্বিতীয়বার সন্ধান মিলল গত শতাব্দীর বিশ্বযুদ্ধের ‘তাজা’ বোমা। বিশ্বের নানান প্রান্তে কত-শত যুদ্ধের স্মৃতি আজও টাটকা, তার কোনও হিসেব নেই কারও কাছেই।