দিল্লি মুম্বই ফ্লাইটে এক বিমানযাত্রীর স্যান্ডউইচে পোকা পাওয়া যায়। সেই ঘটনাকে ঘিরে ব্যপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। শনিবার এই ঘটনায় ওই মহিলা বিমানযাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে ইন্ডিগো বিমান সংস্থা।ইনস্টাগ্রামে একটা পোস্ট শেয়ার করা হয়েছিল। সেখানে লেখা হয়েছিল, আমি ইমেলের মাধ্যমে দ্রুত একটা অভিযোগ জানাব। কিন্তু একজন জনস্বাস্থ্যবিদ হিসাবে আমি বলতে চাই যে স্যান্ডউইচের গুণগত মান ভালো নেই বলে আগাম বলা সত্ত্বেও তিনি সেই স্যান্ডউইচ অন্যান্য যাত্রীদের দেওয়া শুরু করেন। ওই বিমানযাত্রীদের মধ্যে বাচ্চা, বয়স্ক মানুষরাও ছিলেন। তাঁদের সংক্রমণ হলে কী হবে!তবে সেই সঙ্গেই ওই মহিলা যাত্রী জানিয়েছেন, সচেতন করার জন্য় আমি এটা করলাম। এর সঙ্গে কোনও ক্ষতিপূরণ বা রিফান্ডের কোনও ব্যাপার নেই। শুধু একটা বিষয় নিশ্চিত করুন যে যাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যাপারগুলি ঠিকঠাক রাখা এটা আপনাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করা দরকার।তবে ইন্ডিগো তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, দিল্লি থেকে মুম্বইগামী ওই ফ্লাইটে একজন যাত্রী এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সেটা আমরা জানতে পেরেছি। খাবার ও পানীয়র ক্ষেত্রে যাতে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করা হয় সেটা আমরা বরাবর চেষ্টা করি। তদন্তে দেখা গিয়েছে, যে স্যান্ডউইচটা পরিবেশন করা হচ্ছিল যেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সেটা দেওয়া আমরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সেই সঙ্গেই ইন্ডিগোল তরফে বলা হয়েছে, এই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে সঠিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটা দেখা হচ্ছে। যদি কোনও বাজে ব্যাপার হয়ে থাকে সেটার জন্য় আমরা ক্ষমা চাইছি। তবে এর আগে প্লেনের সিট থেকে গদি উধাওয়ের ঘটনা হয়েছিল। তা নিয়েও বিবৃতি জারি করেছিল ইন্ডিগো। প্লেনের সিট থেকে উধাও গদি' - সেরকম দাবি করে একটি ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হতেই মুখ খুলেছিল ইন্ডিগো। উড়ান সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছিল যে এরকম ঘটনা ঘটতেই পারে। ওই গদি আটকানোর জন্য যে 'ভেলক্রো' (যে জিনিসের মাধ্যমে গদি আটকে রাখা হয়) ব্যবহার করা হয়, সেটা থেকে গদি উঠে যেতে পারে মাঝেমধ্যে। বিমানকর্মীদের বললে তাঁরা বিষয়টার সমাধান করে দিতেন বলে ইন্ডিগোর তরফে দাবি করা হয়েছিল। তবে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমাও প্রার্থনা করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে ওই যাত্রীকে যাতে ওরকম অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করারও আশ্বাস দিয়েছিল ইন্ডিগো।এবার স্যান্ডউইচে পোকা থাকার অভিযোগ। ছবি দেখাতেই ক্ষমা চাইল ইন্ডিগো।