জানা গেল নেপালের পোখরায় ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান ভেঙে পড়ার কারণ। বিমানের দুটি ইঞ্জিনের প্রপেলারগুলির কৌণিক বিক্ষেপ শূন্য হয়ে যাওয়ায় বিমানটি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে༺ কেন প্রপেলারের কৌনিক বিক্ষেপ শূন্য হল তা এখনো স্পষ্ট নয়।
গত ১৫ জানুয়ারি নেপালের পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণের কয়েক সেকেন্ড আগে ভেঙে পড়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ATR-72-212 বিমানটি। কাঠমান্ডু থেকে পোখরাগাღমী ওই বিমানের ৭২ জন আরোহীর প্রত্যেকেরই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ৫ জন ভারতীয়।
শুরু হয় উদ্ধারকাজ। গঠিত হয় তদন্তকারী দল। যার মধ্যে রয়েছেন ন♐েপালি বিশেষজ্ঞ, বিমানটির প্রস্তুতকারী সংস্থায় ATR-এর আধিকারিক ও ATR যে দেশের সংস্থা সেই কানাডার বিশেষজ্ঞরা। ১৬ জানুয়ারি বিমানটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়। পরদিন সেগুলিতে সংরক্ষিত ডেটা উদ্ধারের জন্য পাঠানো হয় সিঙ্গাপুরে। ২৮ জানুয়ারি বিমানটির ব্ল্যাকবক্স থেকে ডেটা উদ্ধার করেন বিশেষজ্ঞরা।
সেই তথ্য বিশ্লেষ🅘ণ করে জানা গিয়েছে, প্রপেলারের অটো ফেদারিংয়ের জেরে ভেঙে পড়েছে বিমানটি। এཧর আগে একই কারণে তাইওয়ানে ট্রান্স এশিয়া বিমানসংস্থার একটি বিমান ভেঙে পড়েছিল।
কী এই ফেদারিং?
ATR 72 একটি টার্বো প্রপ বিমান (যে জেট বিমানের প্রপেলার ইঞ্জিনের বাইরে থাকে)। এই বিমানের প্রপেলারের কৌণিক বিক্ষোপ বদলানো যায়। কৌণিক বিক্ষেপ বদলে বাড়তি শক্তি তৈরি করতে পারে এই বিমানের ইঞ্জিনগুলি। কিন্তু কখনো প্রয়োজনে কৌণিক বিক্ষেপ বিমানের অভিমুখের সাপেক্ষে শূন্য করে দিতে পারে বিমান। সেক্ষেত্রে প্রপেলার ঘুরলেও ই🍰ঞ্জিন কোনও শক্তি তৈরি করে না। প্রপেলারের এই অবস্থাকে বলে ফেদারিং।
ATR বিমানে প্রপেলার ফেদারিংয়ের বিষয়টি বেশ জটিল এবং বিভিন্ন মডেলের ক্ষেত্রে আলাদা। বিশেষ পরিস্থিতিতে অনেক সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রপেলার ফেদারিং হয়ে যায়। বিশেষ করে বিমান আকাশে থাকা অবস্থায় কোনও ইঞ্জিন খারাপ হয়ে গেলে বা কোনও ইঞ্জিন ব্যবহার করতে না হলে সেই ইঞ্জিনটি যেন হাওয়ার ধাক্কায় জোরে না ঘোরে সেজন্য এই প্রযুক্তির ব্যবহার হয়। ATR 72 বিমানে বৈদ্যুতিন গোলোযোগের কারণেও ফেদারিং ব্য🔯বস্থা চালু হয়ে যাওয়ার উদাহরণ রয়েছে।
ইয়েতি এয়ারলা꧒ইন্সের বিমানের ২টি ইঞ্জিনের প্রপেলারই ফেদারিং হয়ে গিয়েছিল। ফলে ইঞ্জিন ঘুরলেও তারা কোনও শক্তি তৈরি করছিল না। যার অবধারিত পরিণতি হিসাবে ভেঙে পড়ে বিমানটি।