উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে ক্রমেই ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছেন যোগী আদিত্যনাথ। করোনা মোকাবিলায় যোগী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে শুধুমাত্র যে বিরোধীরা তোপ দাগছেন, এমনচা নয়। দলের অন্দরেও বেশ চাপে রয়েছেন বিজেপির হিন্দুত্বের পোস্টারবয়। এই পরিস্থিতিতে এদিন হঠাতই আজ 'উপেক্ষিত' উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের সঙ্গে দেখা করলেন যোগী আদিত্যনাথ। এদিন কেশবের বাড়িতে যান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মকাণ্ড দেখে জল্পনা বেড়েছে রাজনৈতিক মহলে।জানা গিয়েছে, এদিন কেশবের বাড়িতে যোগীর সঙ্গে সঙ্ঘ পরিবারের এক শীর্ষ স্থানীয় নেতাও গিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, গত সাড়ে চার বছরে এই প্রথমবার উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান যোগী। এদিকে এই প্রসঙ্গে যোগীর ঘনিষ্ঠ শিবিরের দাবি, মৌর্যের পুত্রের বিয়ে হয়েছে গত মাসে। নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, কেশবের সঙ্গে যোগীর এই সাক্ষাতের নেপথ্যে থাকতে পারে অন্য কারণ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, করোনা মোকাবিলা সহ একাধিক বিষয়ে সরকারের কাজ নিয়ে যখন অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন হয়, তখন দলের অন্দরে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৌর্যের মতো নেতারা। অভিযোগ উঠেছে, মন্ত্রী থাকলেও কাজ করতে পারছেন না তাঁরা।দেশে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন খুবই গুরুত্পপূর্ণ একটি পরীক্ষা বিজেপির কাছে। এই পরিস্থিতিতে যোগীকে নিয়ে দলের অন্দরে বাড়তে থাকা অসন্তোষ নিয়ে চিন্তায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সঙ্ঘের নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে, লখনউয়ে পাঠিয়েছেন বিজেপি নেতা বি এল সন্তোষ লখনউতে থেকেই বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে পরিস্থিতির খতিয়ান নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কয়েকদিন আগে যোগীকে তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে। সেখানে তিনি মোদী-শাহদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। যারপরে মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা দেখা দেয়। যদিও এখনও তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা মেলেনি বিজেপির তরফে। তবে উত্তরপ্রদেশে ঘুঁটি সাজানো নিয়ে যে বিজেপি খুব সাবধানী, তা স্পষ্ট। কারণ বিজেপিও জানে, ২০২২-এর ফলের উপর নির্ভর করবে ২০২৪ এর ফাইনালসের ফল।